সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যমুনা টিভির ‘ক্রাইম সিন’ নামক অনুষ্ঠানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে। দাবিটা এমন “গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়’শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় – আখাউড়া, কসবা, বি-বাড়ীয়া, ভৈরব কিশোরগঞ্জ হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত। আবার টঙ্গী জংশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি চুরি-ছিনতাইয়ের রেকর্ড রয়েছে।”

উক্ত দাবির কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
একই দাবির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত কয়েক বছরে রেললাইনের বিভিন্ন স্পট থেকে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ উদ্ধারের শীর্ষক ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং এটি যমুনা টিভির ক্রাইম সিন অনুষ্ঠানের একটি তথ্য যা ২০১৬ সাল থেকে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, মূল ধারার গণমাধ্যম যমুনা টিভির ক্রাইম সিন নামক অনুষ্ঠানে ঢাকা চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ২০১৬ সালের পূর্ববর্তী কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া যেত এবং সবচেয়ে বেশি আখাউড়া ভৈরব কিশোরগঞ্জ কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত রাস্তায় এ ঘটনাগুলো ঘটতো বলে যমুনা টিভির ক্রাইম সিনে দেখানো হয়। তখনকার সময়ে বিভিন্ন স্থানে ঘটা কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং সেসব লাশ রেললাইনে পাওয়া যাওয়ার বিষয় নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনাগুলো বর্তমানেও ঘটছে বলে কোনো প্রতিবেদন যমুনা টিভির ক্রাইম সিন প্রকাশ করেনি। বর্তমান সময়ে এইসব প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে কোনো ধরণের প্রতিবেদন কোনো গণমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়নি। অর্থাৎ, অন্তত ২০১৬ সাল থেকে প্রচারিত পুরোনো তথ্যকে পুনরায় সাম্প্রতিক দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
সুতরাং, কয়েক বছরে রেললাইনের বিভিন্ন স্পট থেকে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ উদ্ধারের দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি প্রচার হলে বিস্তারিত ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার।