কনফার্মেশন বায়াসকে বাংলায় বলা যায় নিশ্চিতকরণ পক্ষপাতিত্ব বা নিশ্চিতকরণের জন্য পক্ষপাতিত্ব। আরও স্পষ্ট করে বললে বাস্তবতাকে কিছুটা উপেক্ষা করে নিজের বিশ্বাস, চেতনা, ভালোলাগা বা ইচ্ছার পক্ষ নেওয়া কিংবা নিতে চেষ্টা করাকে কনফার্মেশন বায়াস বলা হয়। এটি মূলত একজনের বিদ্যমান বিশ্বাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য; অনুসন্ধান বা ব্যাখ্যা করে তথ্য প্রক্রিয়া করার প্রবণতা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিংবা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পক্ষপাতদুষ্ট বিষয়টি মূলত অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষ তার পূর্ববর্তী বিশ্বাস অনুযায়ী প্রত্যাশা করে অথবা ফলাফল চায়। বিশেষত তাদের নিজস্ব বিশ্বাসকে সমর্থন করার জন্য তথ্য প্রক্রিয়া করার চেষ্টা করে, যখন বিষয়টি হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক।
পটভূমি এবং ইতিহাস
কনফার্মেশন বায়াস এর ধারণাটি প্রাচীনকাল থেকেই দার্শনিক এবং লেখকদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। ১৯৬০ এর দশকে, মনোবিজ্ঞানী পিটার ওয়াসন বেশ কয়েকটি পরীক্ষা পরিচালনা করেন যা “ওয়াসনের নিয়ম আবিষ্কারের টাস্ক” হিসেবে পরিচিত। তিনি দেখিয়েছিলেন যে, লোকেরা এমন তথ্য খোঁজার প্রবণতা রাখে যা তাদের বিদ্যমান বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে।

কনফার্মেশন বায়াস-এর লক্ষণ
প্রায়শই এমন লক্ষণ দেখা যায় যে একজন ব্যক্তি অসাবধানতাবশত বা সচেতনভাবে এর কনফার্মেশন বায়াস-এর শিকার হচ্ছেন৷ দুর্ভাগ্যবশত, এটি খুব সূক্ষ্ম এবং চিহ্নিত করাও কঠিন হতে পারে৷ আপনি বা অন্য কেউ যখন এই পক্ষপাতের সম্মুখীন হচ্ছেন তখন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা আপনাকে কনফার্মেশন বায়াস শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে:
- শুধুমাত্র এমন তথ্য খোঁজা যা আপনার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে এবং বিশ্বাস সমর্থন করে না এমন তথ্য উপেক্ষা বা অসম্মান করা।
- উপলব্ধ সমস্ত প্রমাণ বিবেচনা করার পরিবর্তে, আপনি ইতিমধ্যে যা মনে করেন তা নিশ্চিত করে এমন প্রমাণের সন্ধান করা।
- তথ্য মূল্যায়ন করার সময় ব্যক্তিগত পক্ষপাতের উপর নির্ভর করা।
- বেছে বেছে এমন তথ্য মনে রাখা যা আপনার মতামতকে সমর্থন করে আর মতামতকে সমর্থন করেনা এমন তথ্য ভুলে যাওয়া।
- আপনার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে এমন কোনো তথ্যের প্রতি দৃঢ় মানসিক প্রতিক্রিয়া (ইতিবাচক বা নেতিবাচক) দেখানো, আর যা আপনার বিশ্বাসকে নিশ্চিত করেনা এমন তথ্যের ক্ষেত্রে সমান প্রতিক্রিয়া না দেখানো।

কনফার্মেশন বায়াস-এর ধরন
কনফার্মেশন বায়াস-এর কয়েকটি ভিন্ন ধরনের আছে। সবচেয়ে কমন কিছু ধরণ হলোঃ
পক্ষপাতমূলক মনোযোগ: এটি হল যখন আমরা বেছে বেছে সে-সকল তথ্যের উপর ফোকাস করি যা আমাদের মতামতকে নিশ্চিত করে এবং উপেক্ষা করা বা ছেড়ে দেই এমন তথ্য যা আমাদের মতামতকে নিশ্চিত করেনা।
পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাখ্যা: এটা হল যখন আমরা সচেতনভাবে তথ্যকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করি যা আমাদের বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে।
পক্ষপাতদুষ্ট স্মৃতি: এটি হল যখন আমরা বেছে বেছে এমন তথ্য মনে রাখি যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করে আর মতামতকে সমর্থন করেনা এমন তথ্য ভুলে যাই।

কনফার্মেশন বায়াস-এর উদাহরণ
কনফার্মেশন বায়াস-এর প্রভাব সম্পর্কে আরও ভাল ধারণা পেতে দৈনন্দিন জীবনে “কনফার্মেশন বায়াস” কীভাবে কাজ করে তার কয়েকটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।
১. বর্তমান সমস্যা ব্যাখ্যা
কনফার্মেশন বায়াস- এর সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণের মধ্যে একটি হল আমরা কীভাবে সংবাদের গল্প খুঁজি বা ব্যাখ্যা করি৷ আমাদের একটি গল্প বিশ্বাস করার সম্ভাবনা বেশি যদি এটি আমাদের পূর্ব-বিদ্যমান মতামতকে নিশ্চিত করে, এমনকি যদি সংবাদে উপস্থাপিত প্রমাণগুলি নড়বড়ে বা কম নির্ভরযোগ্য-ও হয়।
উদাহরণ স্বরূপ, যদি আমরা কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক প্রার্থীকে সমর্থন করি, তাহলে তার সমালোচনামূলক খবরগুলো আমরা উপেক্ষা করার চেষ্টা করি এবং আমরা এমন খবরগুলিকে বিশ্বাস করি যা তার ব্যাপারে ইতিবাচকভাবে প্রকাশিত৷
- ধরা যাক রহিম বন্দুক নিয়ন্ত্রণের সমর্থনে। তিনি এমন খবর, গল্প এবং মতামতের টুকরো খোঁজেন যা বন্দুকের মালিকানার সীমাবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লেখা। যখন তিনি মিডিয়াতে শুটিং সম্পর্কে কিছু শুনেন, তখন তিনি সেগুলিকে তার বিদ্যমান বিশ্বাস অনুযায়ী ব্যাখ্যা করেন।
- অন্যদিকে করিম বন্দুক নিয়ন্ত্রণের ঘোর বিরোধী। তিনি তার অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংবাদ সূত্র খুঁজে বের করেন। যখন তিনি শুটিং সংক্রান্ত সংবাদের মুখোমুখি হন, তখন তিনি সেগুলিকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করেন যা তার নিজস্ব বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে।

এই দুই ব্যক্তি একই বিষয়ে ভিন্ন মতামত আছে, এবং তারা বিষয়টি সম্পর্কে ব্যাখ্যা তাদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে করেছেন। এমনকি তারা একই গল্প পড়লেও, তাদের পক্ষপাতিত্ব নির্ধারণ করে কিভাবে তারা বিষয়টির বিস্তারিত বুঝতে পারে।
২. ব্যক্তিগত সম্পর্ক
কনফার্মেশন বায়াস-এর আরেকটি উদাহরণ দেখা যায় যেভাবে আমরা বন্ধু এবং পার্টনার নির্বাচন করি। যারা আমাদের একই বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ ধারণ করে তাদের প্রতি আমাদের আকৃষ্ট হওয়ার এবং বন্ধুত্ব করার সম্ভাবনা বেশি এবং যারা করেন না তাদের সাথে মেলামেশা করার সম্ভাবনা কম। এটি একটি ইকো চেম্বার প্রভাবের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যেখানে আমরা কেবলমাত্র এমন তথ্য শুনি যা আমাদের মতামতকে নিশ্চিত করে এবং আমাদের মতামতকে কখনও চ্যালেঞ্জ করা হয় না।
৩. সিদ্ধান্ত গ্রহণ
কনফার্মেশন বায়াস প্রায়ই খারাপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা বিশ্বাস করি যে একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা ভালো, তাহলে আমরা সতর্কীকরণ (নেতিবাচক) বিষয়গুলো উপেক্ষা করতে পারি যে সেগুলো নাও হতে পারে। অথবা, যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট কোম্পানিতে চাকরি পেতে প্রস্তুত থাকি, তাহলে আমরা অন্য সুযোগগুলো বিবেচনা করতে পারি না যা আমাদের জন্য আরও উপযুক্ত হতে পারতো।
কনফার্মেশন বায়াস এর প্রভাব
কনফার্মেশন বায়াস প্রাকৃতিক উপায়ে মস্তিষ্কের কাজ করার কারণে ঘটে, তাই এটি নির্মূল করা প্রায় অসম্ভব। যদিও এটিকে প্রায়শই একটি নেতিবাচক প্রবণতা হিসাবে ধরা হয় যা যুক্তি এবং সিদ্ধান্তকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে এটি সবসময় খারাপ নয়। কনফার্মেশন বায়াস ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয়ভাবেই আমাদের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ইতিবাচক দিক থেকে, এটি আমাদের বিশ্বাস এবং মূল্যবোধে আত্মবিশ্বাসী থাকতে সাহায্য করতে পারে এবং আমাদের নিশ্চিততা ও নিরাপত্তার অনুভূতি দিতে পারে।
তবে দুর্ভাগ্যবশত নেতিবাচক দিক হলো, এই ধরনের পক্ষপাত আমাদের পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে দেখার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে। এটি আমাদের সিদ্ধান্তগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দরিদ্র বা ত্রুটিপূর্ণ পছন্দের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
নির্বাচনের সময়ে, লোকেরা ইতিবাচক তথ্য খোঁজার প্রবণতা রাখে যেখানে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভালো দিক উল্লেখ থাকে। তারা এমন তথ্যও সন্ধান করবে যা বিরোধী প্রার্থীকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে।
বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের সন্ধান না করে, তারা তথ্যকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করে যা শুধুমাত্র তাদের বিদ্যমান বিশ্বাসকে সমর্থন করে এবং সমর্থন করে এমন তথ্যগুলোই তারা মনে রেখে। ফলে তারা প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিস করে ফেলে। এই বিবরণ এবং তথ্য কোন প্রার্থীকে সমর্থন করবেন তার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।

কনফার্মেশন বায়াস কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন
কনফার্মেশন বায়াস কাটিয়ে উঠতে আমরা চেষ্টা করতে পারি এমন কয়েকটি উপায় রয়েছে:
- আপনি এটির শিকার হতে পারেন এমন লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হোন। এর মধ্যে, আপনার ব্যক্তিগত পক্ষপাত সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং কীভাবে কনফার্মেশন বায়াস আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া।
- আপনার নিজস্ব মতামত নিশ্চিত করে এমন প্রমাণের পরিবর্তে প্রাপ্ত সকল প্রমাণ বিবেচনা করুন।
- বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি’র খোঁজ করুন, বিশেষ করে যারা বিরোধী মতামত রাখেন তাদের কাছ থেকে।
- গ্রহণযোগ্য প্রমাণের আলোকে আপনার মন পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হন, এমনকি যদি এতে আপনার আপনার বর্তমান বিশ্বাস হালনাগাদ করা বা পরিবর্তন করতেও হয়।
- সব মতামতকে সমান গুরুত্ব দেওয়া এবং বিবেচনা করা।

কনফার্মেশন বায়াস এর পরিসর
দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রায় সকলেরই কনফার্মেশন বায়াস রয়েছে। এমনকি যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনি খুব খোলা মনের এবং সিদ্ধান্তে আসার আগে ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ বা যাচাই-বাছাই করেন, তবুও কিছু পক্ষপাত সম্ভবত আপনার মতামতকে গঠনে প্রভাব রাখবে। এই প্রাকৃতিক প্রবণতা মোকাবেলা করা খুব কঠিন।
যদি আমরা কনফার্মেশন বায়াস সম্পর্কে জানি এবং পক্ষপাত না হয়ে প্রমাণিত বিষয়কেই স্বীকার করি, তাহলে আমরা বিরোধী মতামতের বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে কাজ করতে পারব। তারা কী বলে এবং কেন বলে তা শোনার মাধ্যমে তাদের তথ্য-প্রমাণকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করতে পারি (গ্রহণযোগ্য ক্ষেত্রে)। এটি আমাদেরকে অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যা এবং বিশ্বাসগুলোকে আরও ভালভাবে দেখতে সাহায্য করতে পারে। অন্যের তথ্য-প্রমাণ কিংবা মতামতকে স্বীকৃতি দেয়ার সময়েও আমাদের অতীত বিশ্বাসের বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
কনফার্মেশন বায়াস যেভাবে ভুল তথ্য বিশ্বাসে ভূমিকা রাখে
সাধারণত (কোনো বিশেষ অনাগ্রহ কিংবা ক্ষোভ না থাকলে) মানুষ তার নিজের পছন্দের ব্যক্তি, ব্যাপার, আবেগ, আদর্শ, নীতি এবং নিজ ধর্ম, বর্ণ, জাতি ইত্যাদির ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া রাখে। সেক্ষেত্রে এইসকল বিষয়ের ইতিবাচক তবে ভুলতথ্য (বাড়িয়ে বলা বা প্রচার) যখন সামনে আসে তখন কনফার্মেশন বায়াসের কারণে মানুষ যাচাই-বাছাই ব্যতীত প্রথমিকভাবে তথ্যটি বিশ্বাস করতে চায়। এমনকি সচেতন মানুষ হলেও যাচাই-বাছাই করার ক্ষেত্রেও বায়াসের প্রভাব পরিলক্ষিত হতে পারে। সোর্স গ্রহণেও এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। আর এই বায়াসনেস; নিরপেক্ষ বিষয়ের চেয়ে পছন্দের (পক্ষের) বিষয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখতে পারে ফলে পছন্দের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে মানুষ বেশি প্রভাবিত হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, নিজেদের পছন্দের বিষয়ের ইতিবাচকতা-ই কেবলমাত্র তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দেয়, নেতিবাচকতা নয়। এই একই প্রভাবে বিপরীত একটি ঘটনাও ঘটে। পূর্বের ন্যায় সমভাবে; অপছন্দের বিষয়ের নেতিবাচকতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দেয়, ইতিবাচকতা নয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুলতথ্যগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহারকারীদের আবেগ, ভালোলাগা কিংবা পছন্দের বিষয়কে কেন্দ্র করে ছড়ানো হয়। বিষয়টিতে বায়াসনেস কাজ অরার কারণে তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে কিংবা প্রচার হয়।
আবার অপছন্দের বিষয়ের কাজ, নীতি কিংবা নেতিবাচকতা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুলতথ্য পরিবেশন করা হয়। এগুলোও “অপছন্দের বিষয়ের নেতিবাচকতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ধরা দেয়, ইতিবাচকতা নয়” বায়াসের কারণে প্রচুর পরিমাণে প্রচার হয়। অর্থাৎ, ব্যক্তিভেদে একই বিষয় একজনের জন্য ইতিবাচক হলে তা অন্যজনের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। এক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট এরিয়া, সংস্কৃতি কিংবা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘু ব্যবহারকারীর সংখ্যা পার্থক্যটা নির্ধারণ করে।

সুতরাং, কনফার্মেশন বায়াস বাস্তবতাকে কিছুটা উপেক্ষা করে নিজের বিশ্বাস, চেতনা, আবেগ, ভালোলাগা বা ইচ্ছার পক্ষ নেয়া কিংবা নিতে চেষ্টা কর। ১৯৬০ এর দশকে, মনোবিজ্ঞানী পিটার ওয়াসন বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন যে, লোকেরা এমন তথ্য খোঁজার প্রবণতা রাখে যা তাদের বিদ্যমান বিশ্বাসকে নিশ্চিত করে।
তথ্যসূত্র
Britannica: confirmation bias | Definition, Background, History, & Facts
Verywellmind: Confirmation Bias: Definition, Signs, Overcoming