গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় ক্যাম্পাসসংলগ্ন জোবরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২২০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যাতে সেনাবাহিনী-র্যাবের একাধিক গাড়ি-ভাংচুরের দৃশ্য দেখা যায়। দাবি করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনী-র্যাবের একাধিক গাড়ি-ভাংচুরের ঘটনা এটি।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে।
টিকটকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
একই দাবির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনী-র্যাবের একাধিক গাড়ি-ভাংচুরের এই দাবিটি সঠিক নয় বরং, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আশুলিয়ায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার সময়ের দৃশ্য এটি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেহেদী হাসান তালুকদার নামের একটি অ্যাকাউন্টে একই ঘটনার ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি আশুলিয়ায় যৌথবাহিনী ও শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময়ের ভিডিও।

আরো অনুসন্ধান করে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডি২৪লাইভের ওয়েবসাইটে এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বর সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ শ্রমিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত পাঁচটি গাড়ি। এই প্রতিবেদনেও র্যাবের ভাংচুরকৃত গাড়িটির ছবি সংযুক্ত রয়েছে।
একইদিন জাতীয় দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে আন্দোলনরত একাধিক কারখানার শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের এই ঘটনায় কাউসার হোসেন খাঁন (২৭) নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অন্তত ৩০ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সুতরাং, ২০২৪ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনী-র্যাবের একাধিক গাড়ি-ভাংচুরের ভিডিও দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Bd24live: আশুলিয়ায় শ্রমিক-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে ২ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ৩০
- Mehedi Hasan Talukder : Facebook video