সম্প্রতি, ‘পুকুরে একটি হিন্দু ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করায় ইসলামিস্ট পিতা হত্যা করেছে’ শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচার করা হচ্ছে।

এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভাইরাল ভিডিওর পানিতে ডুবে নিহত হওয়া বালক হিন্দু ধর্ম্বালম্বী নন এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার পিতা তাকে হত্যা করেনি। প্রকৃতপক্ষে, নিহত বালক মুসলিম এবং তার নাম মাহবুব আলম সৈকত। সে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল। সে পানিতে ডুবে মারা যায়।
অনুসন্ধানে ‘Ahamed Nawaz’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২৬ আগস্ট প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর হুবহু মিল রয়েছে।

উক্ত পোস্টে বলা হয়, মির্জাপুর সুজ্জত আলী বেপারী বাড়ির দুলাল এর ছেলে সৈকত মারা গেছেন।
উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক সকালে সময় এর ওয়েবসাইটে গত ২৭ আগস্ট “মনোহরগঞ্জে পানিতে ডুবে বালকের মৃত্যু” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট দুপুরে নরহরিপুর নতুন বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যান মাহবুব আলম সৈকত (১৩) নামের এক বালক। তিনি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ মির্জাপুর সুজার বাড়ির সৌদিআরব প্রবাসী মোঃ দুলাল মিয়ার মেঝো ছেলে।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, মাহবুব আলম সৈকত মৃগি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
অর্থাৎ, নিহত বালক মুসলিম ধর্মের এবং সে পানিতে ডুবে মারা যায়।
সুতরাং, মানসিক রোগে আক্রান্ত মুসলিম বালকের পানিতে ডুবে নিহত হওয়ার ভিডিওকে হিন্দু বালক মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকৃতি জানালে পিতা তাকে হত্যা করেছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Ahamed Nawaz- Facebook Post
- Sokaler Somoy- মনোহরগঞ্জে পানিতে ডুবে বালকের মৃত্যু
- Rumor Scanner’s Own Analysis