ডিএমপি ডিবি প্রধান হারুনসহ অসংখ্য পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা ও নিবার্চন বন্ধের ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, ‘ডিবি হারুন সহ অসংখ্য পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ’ শীর্ষক থাম্বনেইল এবং একই তথ্য সম্বলিত শিরোনামে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সহ বাংলাদেশ পুলিশের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বন্ধ করার মতও কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং অধিক ভিউ পাবার আশায় চটকদার শিরোনাম ও থাম্বনেইল ব্যবহার করে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই ভিত্তিহীনভাবে দাবিগুলো প্রচার করা হচ্ছে। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এতে দেখা যায়, ভিডিওটির শুরুতে এক নারী কণ্ঠে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছে ডিবি হারুন সহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর পুরুষ উপস্থাপকের কণ্ঠে বেশকিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলার পর বলা হয়, ‘আমরা দেখবো যে ডিবি হারুন সহ অসংখ্য পুলিশের উপর ইতিমধ্যে নিষেধাজ্ঞা এসে গেছে।’ তারপর তিনি আপডেট এই ভিডিওটি না টেনে শেষ পর্যন্ত দেখার জন্যে আহ্বান জানিয়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে পর পর ৫ টি ভিডিও দেখান। যার কোনোটিতেই ডিবি হারুনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের উপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কিংবা আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বন্ধ হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। 

ভিডিও যাচাই ১

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির শুরুতে থাকা ক্লিপটির সূত্র অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেস সার্চের মাধ্যমে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি-এর ইউটিউব চ্যানেল NTV News এ গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ছয় আন্তর্জাতিক সংগঠনের উদ্বেগ | Human Rights Watch | NTV News শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot: Youtube

প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওর প্রথম ক্লিপটির সাথে উক্ত প্রতিবেদনের হুবহু মিল রয়েছে। 

Video Comparison by Rumor Scanner

তবে উক্ত প্রতিবেদনটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আন্তর্জাতিক ৬টি মানবাধিকার সংস্থার বিবৃতি প্রদানের বিষয়টিকে নিয়ে করা হয়েছে। যার সাথে ডিবি হারুনের কোনো সম্পর্ক নেই।

ভিডিও যাচাই ২

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটির দ্বিতীয় ক্লিপের সূত্র অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে Desh TV News এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন সরকারের বরকন্দাজে পরিণত হয়েছে: মান্না | Mahmudur Rahman Manna | Desh TV শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিওটিতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে প্রধানমন্ত্রী, রওশন এরশাদ, নির্বাচন কমিশন এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা যায়। তবে তার বক্তব্যে কোথাও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নিবার্চন বন্ধ হওয়া বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

ভিডিও যাচাই ৩

পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে IBTV USA নামের একটি গণমাধ্যমের ভিডিও প্রতিবেদন দেখানো হয়। উক্ত গণমাধ্যমের নামের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে IBTV USA এর ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন সুষ্ঠু দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া I Australia I elections I BD I শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করেও এতে ডিবি প্রধান হারুন ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভিডিও যাচাই ৪

এরপর আলোচিত ভিডিওটিতে ফিরোজ নামের একজন ইউটিউবারের ভিডিও দর্শকদের উদ্দেশ্যে দেখানো হয়। উক্ত ভিডিওর সন্ধানে ফিরোজ নামটির সূত্র ধরে Voice Bangla নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলের সন্ধান পাওয়া যায়। চ্যানেলটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় উক্ত চ্যানেলটি আলোচিত ভিডিওর সেই ফিরোজ নামের ব্যক্তির। তার পুরো নাম মোস্তফা ফিরোজ। পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওতে তার পরিহিত পোশাকের সূত্র ধরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে উক্ত ইউটিউব চ্যানেলে গত ১৩ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত দেখতে চায় জাতিসংঘ’ I Mostofa Feroz I Voice Bangla শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। 

Video Comparison by Rumor Scanner

উক্ত ভিডিওটি পর্যালোচনা করেও তাতে আলোচিত দাবির পক্ষে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে দেখা যায় না।

ভিডিও যাচাই ৫

ভিডিওটির একদম শেষ পর্যায়ে দর্শকদের উদ্দেশ্যে আরেকটি ইউটিউবারের ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওটিতে একজন ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমিও তো মানুষ; বলছেন বর্তমান ডিবি প্রধান হারুন।’ উক্ত কথাটি এবং ভিডিওর বাম পাশের উপরের HUQ লেখাটির সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Dr. Fayzul Huq নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ ডিসেম্বর ডিবির হারুনওতো মানুষ! তার কি বাঁচার অধিকার নেই? হঠাৎ কেন এই দাবী হারুনের? ড. ফয়জুল হকDr. Fayzul Huq শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত চ্যানেলের মালিক ড. ফয়জুল হক মূলত ভিডিওটিতে সময়ের কণ্ঠস্বর নামের একটি গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটে গত ১০ ডিসেম্বর আমিও তো মানুষ, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই? বললেন ডিবিপ্রধান শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমিও তো মানুষ, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই? উক্ত বক্তব্যের সূত্র ধরে ড. ফয়জুল হক নামের ওই ব্যক্তি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন। কিন্তু তাতে ডিবি প্রধান হারুনের ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এছাড়াও ভিডিওটিতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বন্ধ হবার বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।

পরবর্তী অনুসন্ধানে মার্কিন ভিসা নীতির ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে গত ২৪ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

Screenshot : US Embassy

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আজ, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে, আমি ইমিগ্রেশন এন্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা 212(a)(3)(C) (“3C”) এর অধীনে একটি নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির জন্য ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপে সক্ষম হবে। এর মধ্যে বর্তমান ও প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী , বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে, ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে: ভোট কারচুপি , ভোটারদের ভয় দেখানো , সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হবার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেয়া, এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সকলের। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’

ডিবি হারুন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের ওয়েবসাইট (U.S. DEPARTMENT OF THE TREASURY), যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ওয়েবসাইট (USA gov) এবং বাংলাদেশস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এর ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা তথ্যের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের টুইটার অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের কারো উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে গত ২৪ জুলাই ম্যাথিউ মিলার বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রকাশ করে না। তবে নিষেধাজ্ঞায় পড়া অফিসিয়াল বা সরকারি ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করে।

Screenshot: state.gov, USA

যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র যাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়া, তাদের মধ্যে অফিসিয়াল বা সরকারি ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো নাম প্রকাশ করে না সেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সহ অসংখ্য পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলে দেশটি নাম প্রকাশ করতো। অর্থাৎ ডিবি প্রধান হারুন সহ বেশকিছু পুলিশ সদস্যের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার দাবিটি কোনো ধরনের তথ্যসূত্র ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চরে মাধ্যমে উক্ত নিষেধাজ্ঞার জন্যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বন্ধ হওয়ার বিষয়ে কোনো গণমাধ্যমে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য খুজে পাওয়া যায়নি।

মূলত, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে এমন সম্ভাবনায় সম্প্রতি ৬টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। উক্ত ঘটনায় বাংলাদেশের অন্যান্য গণমাধ্যমের পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনের সাথে অন্যান্য আরও কিছু গণমাধ্যমের ভিন্ন ঘটনার কয়েকটি প্রতিবেদন ও কয়েকটি ইউটিউবারের ভিডিও যুক্ত করে ‘ডিবি হারুন সহ অসংখ্য পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ’ শীর্ষক থাম্বনেইল এবং শিরোনাম যুক্ত করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই অধিক অধিকতর ভিউ পাবার আশায় চটকদার থাম্বনেইল ও শিরোনাম ব্যবহার করে আলোচিত দাবিতে ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।

সুতরাং, ডিবি হারুন সহ অসংখ্য পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা এবং উক্ত নিষেধাজ্ঞায় আসন্ন নির্বাচন বন্ধ হওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

RS Team
Rumor Scanner Fact-Check Team
- Advertisment -spot_img
spot_img
spot_img