সম্প্রতি, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা আওয়ামী স্বাধীনতা, চব্বিশের স্বাধীনতা আমজনতার’ এই শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো’র ডিজাইন সম্বলিত একাধিক ফটোকার্ড ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম প্রথম আলোকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে উক্ত মন্তব্যটি করেছেন বলে ফটোকার্ডটিতে দাবি করা হচ্ছে৷
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘একাত্তরের স্বাধীনতা আওয়ামী স্বাধীনতা, চব্বিশের স্বাধীনতা আমজনতার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করে নি। মূলত, প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে নিয়মিতভাবে প্রচারিত ফটোকার্ডের জিজাইনের আদলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে আলোচিত ফটোকার্ডগুলো তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রথম ফটোকার্ডটিতে প্রথম আলোর লোগো ব্যবহার এবং এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে। একই দাবিতে দ্বিতীয় ফটোকার্ডটিতেও ভিন্ন আদলে প্রথম আলোর লোগো ও প্রকাশের তারিখ হিসেবে একই তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে প্রথম আলোর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উল্লিখিত তারিখে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়াও, প্রথম আলো’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণে প্রথম আলো’র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলোর সাথে আলোচিত ফটোকার্ডগুলোর গ্রাফিক্যাল ও শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের ডিজাইনে অমিল পরিলক্ষিত হয়, এবং আলোচিত ফটোকার্ড দুটিও একটি অন্যটি থেকে আলাদা৷
তাছাড়া,গত ১৭ অক্টোবর প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়৷ এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, প্রথম আলোর নামের প্রচারিত আলোচিত ফটোকার্ডটি ও তথ্য উভয়ই ভুয়া। সেই পোস্টে আলোচিত দুটি ফটোকার্ডের মধ্যে একটি শেয়ার করে এই দাবি করা হলেও মূল তথ্যটি অর্থাৎ মাহফুজ আলমের বিশেষ সাক্ষাৎকার ও মন্তব্যটিকে ভুয়া বলে দাবি করা হয়েছে৷
সুতরাং, মাহফুজ আলমকে উদ্ধৃত করে ‘একাত্তরের স্বাধীনতা আওয়ামী স্বাধীনতা, চব্বিশের স্বাধীনতা আমজনতার’ শীর্ষক শিরোনামে প্রথম আলো’র নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Prothom Alo- Facebook Post
- Rumor Scanner’s Own Analysis