সম্প্রতি, ‘আবার প্রতিমা ভাংচুর! আজ ভোরে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের কলারদনিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে একজন,দুইজন পালিয়ে গেছে। তারা কয়েকজন মিলে পালাক্রমে কলারদোয়ানিয়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দির,এবং কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির সহ মোট ৩ টি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে।সর্বশেষ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ছবিতে উল্লেখিত কামরুল ইসলাম সুজন আটক কামরুল ইসলাম সুজন স্বরূপকাঠি উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের প্রয়াত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।তাছাড়া অন্য দুইজন পালিয়ে গেছে।ধৃত কামরুল ইসলাম সুজনকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে,বিচারহীনতার সংস্কৃতি এই সব দুর্বৃত্তদের অন্যায় কাজ করতে সাহস যোগায়।অপরাধীকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হতো তবে পরবর্তীতে এই ধরনের অন্যায় কাজ গুলো আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেখতে হতোনা। দিবাকর সত্যান্বেষী।’ ক্যাপশনে ভাঙচুরের শিকার প্রতিমা ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। ‘Saimon Bangali’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই দাবিটিপ্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পিরোজপুরে প্রতিমা ভাংচুরের এই ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, এটি ২০১৯ সালের ঘটনা। সেসময় পিরোজপুরের নাজিরপুরে একই দিনে তিনটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দৈনিক ইত্তেফাকের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ‘পিরোজপুরে ৩ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুর, আটক ১‘ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত ছবির সাথে সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত প্রথম ছবিটির মিল রয়েছে।

উক্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেসময় পিরোজপুরের নাজিরপুরে একই দিনে তিনটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগে স্থানীয়রা হাতেনাতে কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছিল। উপজেলার কলারদোয়ানিয়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দির, কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাজার সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক অধির রঞ্জন মল্লিকের বাড়ির শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছিল।

পরবর্তীতে, বিডিনিউজ২৪ ডট কমের প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত মন্দিরে ভাংচুরের ছবি ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল রয়েছে।

সেসময় অন্যান্য গণমাধ্যমও এবিষয়ে সংবাদ (১,২,৩) প্রকাশ করে।
অর্থাৎ, পিরোজপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়।
সুতরাং, ২০১৯ সালে পিরোজপুরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনাকে সাম্প্রতিক দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।





