সম্প্রতি, গত ৩১ মে হাতিয়া উপকূলে মেঘনা নদীতে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি পণ্যবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, গত ২৮ মে কুতুবদিয়ার কাছে লবণবাহী একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনাতেই নিখোঁজ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই দুই ঘটনার প্রেক্ষিতে, নৌযান সদৃশ একটি বস্তু ডুবে যাচ্ছে এমন একটি ছবি উভয় ঘটনার সঙ্গেই প্রকাশ করা হচ্ছে।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনার ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ),
কুতুবদিয়ার কাছে লবণবাহী একটি ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনার ছবি দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নৌযান সদৃশ বস্তু ডুবে যাওয়ার এই ছবিটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়, বরং অন্তত ২০২২ সালের মে মাস থেকে এই ছবিটি ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া, গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী এটি ট্রলার নয়, বাল্কহেড জাহাজ।
আলোচিত ছবিটির বিষয়ে অনুসন্ধানে বাংলা ট্রিবিউন এর ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ২১ মে ‘মেঘনার জোয়ারে ডুবলো পাথরবোঝাই জাহাজ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি ফিচারে ব্যবহৃত ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবির মিল রয়েছে।

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ মে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে মক্কা-মদিনা নামে পাথরবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গিয়েছিল।
অর্থাৎ, এটি নিশ্চিত যে আলোচিত এই ছবিটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়।
এছাড়াও, সেই সময় অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
সুতরাং, হাতিয়া উপকূলে মেঘনা নদীতে যাত্রীসহ ট্রলারডুবি এবং কুতুবদিয়ার কাছে লবণবাহী ট্রলার ডুবে যাওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে পুরোনো ভিন্ন ঘটনার ছবি প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Bangla Tribune: ‘মেঘনার জোয়ারে ডুবলো পাথরবোঝাই জাহাজ
- banglanews24.com: ঝড়ো হাওয়ায় মেঘনায় ডুবল পাথরবোঝাই জাহাজ