সম্প্রতি, জলবায়ু সহিষ্ণুসহ আর্থিক পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে শীর্ষক দাবিতে কতিপয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন দেখুন এনটিভি, বাংলাদেশ টাইমস।
একই দাবিতে গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংকের ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার তথ্যটি সঠিক নয় বরং, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গত ২১ জুন Bangladesh Receives $900 million World Bank Financing to Increase Economic and Urban Resilience for Sustainable Growth শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি খুঁজে পাওয়া যায়।
Screenshot: World Bank
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড বাংলাদেশের জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে।
একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে ডেইলি স্টার, বণিক বার্তা, যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্তসহ অন্যান্য দেশীয় গণমাধ্যম।
৯০০ মিলিয়ন ডলারকে ৯০ কোটি ডলারও বলা যায়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা (বর্তমানে ডলার রেট ১১৭ টাকা হিসেবে)। অপরদিকে ৯০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, ৯০ বিলিয়ন এবং ৯০০ মিলিয়নে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
মূলত, সম্প্রতি দেশের কতিপয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। তবে রিউমর স্ক্যানার যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাংক জলবায়ু সহিষ্ণু ও টেকসই প্রবৃদ্ধি, শহরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক খাতে নীতিমালা জোরালো করতে দুটি প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
সুতরাং, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৯০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার খবরকে ৯০ বিলিয়ন ডলার ঋণ শীর্ষক দাবিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- World Bank Website: Bangladesh Receives $900 million World Bank Financing to Increase Economic and Urban Resilience for Sustainable Growth
- Rumor Scanner’s Own Analysis