সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তালেবানী জিহাদি সন্ত্রাসীদের পতাকা উত্তোলন করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও ইউএসএআইডির এজেন্ট।’ এমন দাবিতে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে।

উক্ত দাবিতে এক্সে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ফেসবুকের পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজতক বাংলা’র একটি অনুষ্ঠানে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশি এক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদার৷ ভিডিওটি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কালেমা খচিত কালো পতাকা উত্তোলন করেনি বরং, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ঢাকার শাহবাগে গণভবন অভিমুখে বিক্ষোভকারীদের এগিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরের পাশে জনতার কালেমা খচিত পতাকা উত্তোলনের ঘটনাকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়, এটি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকায় গণভবন অভিমুখে পাশে জনাকয়েক সেনাসদস্যসহ বিক্ষোভকারীদের যাত্রার ছবি।
এছাড়া বিবিসির এই ছবিতে ওয়াটারমার্কে থাকা তথ্য অনুযায়ী ছবিটির স্বত্বাধিকারী ছবি শেয়ারিং এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গেটি ইমেজেস। পরবর্তীতে গেটি ইমেজেসের ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ছবিটির বর্ণনায়ও বিবিসির ন্যায় একই তথ্য উল্লেখ পাওয়া যায়। ছবির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, ছবিটি ধারণ করেছেন এএফপির ফটোসাংবাদিক মুনির উজ জামান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে কলেমা খচিত সবুজ পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়। যেটি বিগত সরকারগুলোর সময়েও পরিলক্ষিত হয়েছে।

সুতরাং, গত বছরের ৫ আগস্ট গণভবন অভিমুখে বিক্ষোভকারীদের এগিয়ে যাওয়ার সময়ে রাস্তায় সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরের পাশে জনতার কালেমা খচিত পতাকা উত্তোলনের ঘটনাকে সেনাবাহিনী কর্তৃক এই পতাকা উত্তোলন করা হয় দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Getty Images: BANGLADESH-UNREST-STUDENTS
হালনাগাদ/Update
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫: এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে একই দাবি প্রচার হওয়ার প্রেক্ষিতে তা প্রতিবেদনে দাবি হিসেবে যুক্ত করে প্রয়োজনীয় হালনাগাদ সম্পন্ন করা হলো।