আজ (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও, এর আগের দিন (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলটির নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেন। এ প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে টুপি ও পাঞ্জাবি পরিহিত এক ব্যক্তিকে টোলপ্লাজার বেষ্টনী জোরপূর্বক সরিয়ে দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হয়, জামায়াত নেতাকর্মীরা ক্ষমতা দেখিয়ে জোর করে টোলপ্লাজা পার হয়েছেন।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন: এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ভিডিওটি জামায়াতে ইসলামীর আজকের সমাবেশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোলপ্লাজায় যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা প্রবেশে বাধা দেয়। তখন যাত্রীরা জোর করে বেষ্টনী সরিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ঢোকে। এটি সে ঘটনারই দৃশ্য।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চ্যানেল ২৪-এর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়, যার সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল লক্ষ্য করা যায়।

ওই ভিডিওর সূত্র ধরে সমকালে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়। প্রতিবেদনে জানানো হয়, টোল না দিয়ে যাত্রীবোঝাই একটি পিকআপ এক্সপ্রেসওয়েতে প্রবেশের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেতু বিভাগ এবং ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি সূত্র জানায়, খোলা গাড়িতে যাত্রী পরিবহণ নিষিদ্ধ থাকায় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পিকআপটিকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু পিকআপে থাকা যাত্রীরা তা মানতে না চেয়ে টোলের ৮০ টাকা নিতে চাপ দেন এবং কর্মীরা রাজি না হওয়ায় তারা বেষ্টনী সরিয়ে ঢুকে পড়েন। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং পিকআপটি শনাক্তের কাজ শুরু করে।
সে সময় দেশের আরও একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমেও (১,২,৩) একই তথ্য প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়।
সুতরাং, গত বছরের সেপ্টেম্বরের পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে আজ ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশে আসার পথে টোলপ্লাজায় জোরপূর্বক ক্ষমতা দেখিয়ে গাড়ি পার হওয়ার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।