সম্প্রতি, আমাজন রেইন ফরেস্ট থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম ঘাড় সহ দৈত্যের কঙ্কাল পাওয়া গেছে দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে কয়েকটি কোলাজ ছবি প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আমাজন রেইন ফরেস্ট থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম ঘাড় সহ দৈত্যের কঙ্কাল পাওয়া গেছে শীর্ষক দাবিটি সঠিক নয় বরং, আলোচিত দাবিতে প্রচারিত কোলাজ ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত কোলাজ ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে ছবিগুলোর একটিতে অসামন্জস্যতা চোখে পড়ে। দেখা যায়, এক ব্যক্তির শরীরে মাথা নেই। এছাড়া, একই ছবিতে থাকা মানুষগুলোর ঘাড়েও অসামন্জস্যতা দেখা যায়।

কোলাজের এই ছবিটিসহ অন্য ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ করে এআই তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি বলে প্রতীয়ামান হয়েছে।
এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ ওয়েবসাইট হাইভ মডারেশনের সাহায্য নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটির বিশ্লেষণে কোলাজ ছবিগুলো এআই দ্বারা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।

Screenshot: Hive Moderation
পরবর্তীতে, আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দীর্ঘতম মানব ঘাড় পাডাং (বা কায়ান) উপজাতির মহিলাদের মধ্যে পাওয়া যায়, যারা উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমারের উচ্চভূমিতে বাস করে।
স্বাভাবিকভাবে আমাজন রেইন ফরেস্টে এমন কিছু পাওয়া গেলে তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হওয়ার কথা। কিন্তু আলোচিত দাবির বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি ছবিগুলোকে আমাজন রেইন ফরেস্ট থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম ঘাড় সহ দৈত্যের কঙ্কাল পাওয়া গেছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Hivemoderation
- গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড
- Rumor Scanner’s Own Analysis