ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পুরোনো

সম্প্রতি, “ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেওয়ার পরবর্তী দৃশ্য” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ফারাক্কা

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ফারাক্কা বাঁধের নয় বরং এটি ভারতের কর্ণাটকের গোরুর বাঁধের একটি পুরোনো ভিডিও। 

ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স সার্চের মাধ্যমে, ‘Karnataka Travel Diaries’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ১১ আগষ্টে “Hemavthi dam Gorur” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ৪৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, ভারতের কর্ণাটকের হেমাবতী নদীর উপরে অবস্থিত গোরুর বাঁধের স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার পর পানি প্রবাহের সময়ে ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার পরবর্তী সময়ের দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভারতের ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়া হয়েছে’ এমন কোনো সংবাদ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় নি। 

আরো পড়ুনঃ ভিডিওটি ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার নয়, এটি মাহি বাজাজ বাঁধের পুরোনো ভিডিও

এছাড়া, বিষয়টি অধিক নিশ্চিতের জন্য গুগলের ‘গুগল স্ট্রিট ভিউ’ এ সার্চ করে গোরুর বাঁধের সাথে আলোচিত ভিডিওর বাঁধের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) রাত থেকে ১২ ঘন্টাতেই সুনামগঞ্জে চার ফুট পানি বেড়ে যায়। ফলে বন্যার ভয়াবহতায় দিশেহারা হয়ে পড়ে সুনামগঞ্জের মানুষ। সুনামগঞ্জ ছাড়াও এই বন্যায় সিলেট বিভাগের প্রায় সব এলাকাই পানিতে ডুবে যায়।  আগামী দুই দিনে এই পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে আজ সিলেটে ভারী বৃষ্টি থেমেছে এবং ৪দিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। তবে নদ-নদী দিয়ে ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। সিলেট নগরের কিছু উঁচু স্থানে পানি কমলেও সার্বিক অর্থে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। 

সুতরাং, ভারতের কর্ণাটকের হেমাবতী নদীর উপরে অবস্থিত গোরুর বাঁধের স্লুইস গেটে পানি প্রবাহের সময়ে ধারণকৃত একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত কর্তৃক ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার দৃশ্য দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র 

Prothom Alo: সিলেটে সকালে সূর্যের উঁকি, বৃষ্টি থামলেও ঢল আছে | প্রথম আলো

আরও পড়ুন

spot_img