জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী কর্তৃক বাড়ি ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণের এই দাবিটি ভুয়া, প্রতিবেদনটি ভিন্ন ঘটনার

সম্প্রতি, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণ করেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আলোচিত ভিডিওটি জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হওয়া কোনো নারীর বক্তব্য প্রদানের নয়। প্রকৃতপক্ষে, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসায় প্রেমিকার অনড় অনশন পালনের সংবাদকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যালোচনা করে রিউমর স্ক্যানার। এতে ভিডিওটিতে মোহনা টেলিভিশনের লোগো দেখতে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে বক্তব্য প্রদানকারী নারীকে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করতে দেখা যায়নি। বরং, ভিডিওটিতে তাকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করার পরও বিয়ে না করার অভিযোগ করতে শোনা যায়।

পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে Mohona Tv এর ফেসবুক পেজে গত ১১ জুলাই “আমার জীবন নষ্ট করছে, তাইলে আমার জীবন দিয়া কী হবে” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত মূল ভিডিওটি প্রতিবেদনটি খুঁজে পাওয়া যায়।

Video Comparison by Rumor Scanner 

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ফারুক নামের এক প্রবাসীর সাথে অভিযোগকারী সোনিয়ার দীর্ঘ তিন বছরের সম্পর্কের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফারুক তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সোনিয়া ফারুকের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করেন। 

পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে একাধিক গণমাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে। প্রতিবেদনগুলো থেকেও একই তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি আরও জানা যায়, সোনিয়া নামের ওই মেয়েটি গত ১০ জুলাই ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রবাসী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেন।

সুতরাং, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশনের ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে ধর্ষণ করেছে দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img