সম্প্রতি, ভূমি অপরাধ আইন পাশ হয়েছে দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ভূমি অপরাধ আইন পাশের বিষয়টি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, গত ০৪ সেপ্টেম্বর এসংক্রান্ত একটি বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হলেও তা এখনো পাশ হয়নি।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। সেখানে ভুমি অপরাধ আইন পাশ হয়েছে মর্মে কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পরবর্তীতে আলোচিত গেজেটটি খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে বিলটি গত ০৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে গত ১১ সেপ্টেম্বর ভূমি অপরাধ আইন বিষয়ক ভুয়া গুজব প্রসঙ্গে একটি সতর্কতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ধরনের ভুয়া খবর ও গুজব জনমনে বিরূপ প্রভাব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। নতুন আইন প্রণয়নের পর তা সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব সরকারি পোর্টালে প্রকাশ করা হয়।
সেখানে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রকৃত তথ্য হচ্ছে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রস্তুত ও অনুমোদনসংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অর্থাৎ, উপরোক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট যে, ভূমি অপরাধ আইন পাশের তথ্যটি সঠিক নয়।
মূলত, ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’ প্রস্তুত ও অনুমোদন সংক্রান্ত কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। গত ০৪ সেপ্টেম্বর এসম্পর্কিত বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। তবে এটি পাশ হওয়ার পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভূমি অপরাধ আইন পাশ হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় আইন পাশ হওয়ার বিষয়টিকে ভুয়া খবর বলে নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব প্রচারের বিষয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
সুতরাং, ভূমি অপরাধ আইন পাশ হয়েছে দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Ministry of Land: Official Website
- Ministry of Land Facebook: Verified Page’s Post
- Rumor Scanner’s Own Analysis