রাষ্ট্রপতি পদ থেকে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের গুজব

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দাবি করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেননি বরং পুরোনো ও অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ও ছবি প্রচার করে ভুয়া এই দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে। 

আলোচিত দাবিটিতে প্রচারিত ভিডিওতে রাষ্ট্রপতির বঙ্গভবন ছেড়ে যাওয়ার দাবিতে সংযুক্ত ফুটেজটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে মূলধারার গণমাধ্যম চ্যানেল আই এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি ভিডিও এর ফুটেজের সাথে মিল পাওয়া যায়৷ 

Comparison: Rumor Scanner

ভিডিওটির বর্ণনা পড়ে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি পদে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর মনোনয়নপত্র দাখিলের পরবর্তী সময়ের ফুটেজ এটি। উক্ত ভিডিওটির সাথে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির কোনো সম্পর্ক নেই। 

তাছাড়া, ভিডিওটিতে ব্যবহৃত অন্য ছবিগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানেও দেখা যায় সেগুলো মূলত পুরোনো ও ভিন্ন ঘটনার দৃশ্য।

Comparison: Rumor Scanner

প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও নির্ভরযোগ্য বা গণমাধ্যম সূত্রে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবির সপক্ষে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় আলোচিত দাবি প্রচার পরবর্তী সময়ে গতকাল (২ নভেম্বর) ‘জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গতকাল রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান উপায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আর অর্থনৈতিক উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো ‘সমবায়’। সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমবায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্বনির্ভরতা অর্জন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আরো নানা বিষয় উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পদত্যাগ না করলেও সম্প্রতি তার পদত্যাগের দাবি বেশ জোরালোভাবে সামনে এসেছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার লিখিত পদত্যাগপত্র না পাওয়ার কথা বললে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তার বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও এরইমধ্যে রাষ্ট্রপতিকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বলে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। এই দাবিতে শহীদ মিনারে সমাবেশ ও বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের চেষ্টাও করা হয়।

সুতরাং, রাষ্ট্রপতি পদ থেকে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img