বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে মারধরের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা দাবিতে ভারতে অপপ্রচার

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন নারীকে অপর একজন নারীর চুল ধরে টেনে নেওয়ার একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশে উক্ত নারীকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে এক্সে (সাবেক টুইটার) প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটিতে প্রদর্শিত নারীকে হিন্দু হওয়ার কারণে বা সাম্প্রদায়িক কারণে মারধর করা হয়নি বরং, আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ায় রাজনৈতিক কারণে তাকে মারধর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ করতে দেখা যায়নি।

প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করলে তাতে ‘BANGLADESH SONGBAD’ নামের একটি জলছাপ লক্ষ্য করা যায়৷ এরই সূত্র ধরে অনুসন্ধান করলে Daily Bangladesh Songbad নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১০ নভেম্বর হুবহু উক্ত ভিডিওটি পোস্ট হতে দেখা যায়। ক্যাপশনে লেখা হয় : “আওয়ামী লীগ নেত্রীর- কি অবস্থা করলো- বিএনপির নেতা কর্মীরা|”

Comparison : Rumor Scanner

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি যে ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া হয়েছে, তাদের প্রচারিত সেই মূল ভিডিওটিতে বলা হয়েছে যে, এই মহিলাকে আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ার কারণে মারধর করা হয়েছে।

এছাড়াও অধিকতর অনুসন্ধানে ‘Deshjogot News – দেশজগত নিউজ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বরে উক্ত ঘটনার আরেকটি ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়, “আওয়ামী লীগ নেত্রীকে গণধোলাই”। উক্ত ভিডিওটিতে দেখা যায়, মানুষজন ঐ নারীর মোবাইল চেক করছেন এবং উক্ত নারীকে লক্ষ্য করে পাশে থাকা কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, “দুর্নীতি করেছেন”, “আপা সৈনিক লীগ” ইত্যাদি।

তাছাড়া, একাধিক উপায়ে অনুসন্ধান করেও উক্ত মহিলাকে সাম্প্রদায়িক কারণে মারধর করা হয়েছে শীর্ষক দাবিটির সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।

সুতরাং, আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ার কারণে একজন মহিলাকে মারধরের ঘটনাকে হিন্দু হওয়ার কারণে মারধর করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে সাম্প্রদায়িক আঙ্গিকে প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img