নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের ছয় প্রস্তাব দাবিতে ভুয়া তথ্য প্রচার

সম্প্রতি, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ছয় দফা প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

কথিত প্রস্তাবনাগুলো হলো, সারা বাংলাদেশে একদিনেই নির্বাচন না দিয়ে,  ৮ দিনে ৮ টি বিভাগের নির্বাচন দিতে হবে। বাংলাদেশের সকল বাহিনীর উপস্থিতিতে নির্বাচন দিতে হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ৫ জন সেনাবাহিনীর সদস্য, দুই জন বিজিবি + তিনজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রের সার্বিক অবস্থা লাইভ টেলিকাস্ট করতে হবে। বিমানবাহিনী একটা স্পেশাল টিম হেলিকপ্টার যোগে টহল দিবে। কোন কেন্দ্র আক্রান্ত হলে তারা দ্রুতই রিজার্ভ ফোর্স সরবরাহ করবে।

উক্ত দাবির ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানে,

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচন আয়োজনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এমন কোনো প্রস্তাব দেননি বরং যশোরের এক ব্যক্তির দেওয়া এসব প্রস্তাবনাকে উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কিওয়ার্ড সার্চ করে গত ১৩ জুন রাত ৮ টা ৫৯ মিনিটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রথম পোস্টটি খুঁজে পায় রিউমর স্ক্যানার। মোস্তাফিজুর রহমান জনি নামে এক ব্যক্তি নিজের প্রস্তাব জানিয়ে উক্ত দাবিগুলো তুলে ধরেন। ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যশোরের মনিরামপুর সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক।  

পরবর্তীতে উক্ত তথ্যগুলো সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের ছবি ব্যবহার করে পোস্ট হতে দেখা যায়।  আবার সেনাপ্রধানের কাছে এই প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে এমন শিরোনামেও তথ্যগুলো প্রচার হতে দেখা গেছে।

অর্থাৎ, ছয় দফা সম্বলিত একটি প্রস্তাবের সাথে প্রস্তাবদাতার নাম সময়ে সময়ে বদলে দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।

সেনাপ্রধানের উক্ত প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি প্রচারের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি একটি ভুয়া সংবাদ।

সুতরাং, নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধানের ছয় দফা প্রস্তাব শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা।

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img