সম্প্রতি, অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যার মধ্যে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। এর প্রেক্ষিতে চলমান বন্যায় ফেনীতে শিশুসহ ৪২৮ জন, নোয়াখালীতে ৩৮৫ জন এবং কুমিল্লাতে ১০৩ জন মারা গিয়েছে দাবিতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন ফটোকার্ড দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, চলমান বন্যায় কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনীতে মৃতের সংখ্যা প্রসঙ্গে যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বরং কোনোপ্রকার তথ্যসূত্র ছাড়াই যমুনা টিভির লোগো ব্যবহার করে উক্ত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে রিউমর স্ক্যানার টিম। পর্যবেক্ষনে দেখা যায়, এটি প্রকাশের তারিখ হিসেবে ২৩ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
উক্ত তথ্যের সূত্র ধরে যমুনা টিভি‘র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ফটোকার্ডের সাথে যমুনা টিভির পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের মিল থাকলেও আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে যমুনা টিভির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রচারিত ফটোকার্ডের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
আলোচিত ফটোকার্ডের বিষয়ে গত ২৩ আগস্ট যমুনা টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ফটোকার্ডটির মাধ্যমে যমুনা টিভির পক্ষ থেকে জানো হয়, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনীতে মৃতের সংখ্যা সম্পর্কিত আলোচিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। যমুনা টিভি এমন কোনো সংবাদ প্রচার করেনি।
এছাড়া, আজ দুপুরে দেওয়া সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী বন্যায় সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সুতরাং, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনীতে মৃতের সংখ্যা নিয়ে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Jamuna Television Facebook Page Post
- Rumor Scanner’s Own Analysis