সম্প্রতি, ‘সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম’ শীর্ষক শিরোনামে কয়েকটি ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে৷ ০২ নভেম্বর থেকে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির অফিসে হামলায় উষ্কানি ও জড়িত থাকার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে৷
উক্ত দাবিতে ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হননি৷ প্রকৃতপক্ষে, ভিন্ন ঘটনার কিছু ফুটেজ ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রিত করে উক্ত দাবির ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে৷
আলোচিত ভিডিও কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে প্রাপ্ত ‘EAGLE EYE’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৩ অক্টোবর প্রচারিত একটি ভিডিওর ০৩:৪৯ সেকেন্ড থেকে আলোচিত ভিডিওর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ফুটেজ খুঁজে পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক মিডিয়া যমুনা টিভির গত ০৪ নভেম্বর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত প্রতিবেদনের শুরু থেকে ০০:০৫ সেকেন্ড ও ০০:১২ থেকে ০০:২০ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটি আলোচিত ভাইরাল ভিডিওতে ব্যবহার করা হয়েছে৷
আমাদের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহর ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করা হয়, সেখানে গত ০২ নভেম্বর রাতের একটি পোস্ট পাওয়া গেছে। একইভাবে, সারজিস আলমের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ০৪ নভেম্বর একটি জনসমাগমে তার ওইদিন উপস্থিত থাকার কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করা হয়। উল্লেখ্য, আলোচিত ভিডিওতে তাদের গত ০১ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে৷
এ ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজটি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যেখানে আলোচিত অভিযান ও গ্রেফতারের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷
তাছাড়া, গণমাধ্যম বা বিশ্বস্ত কোনো সূত্রে সেনাবাহিনীর হাতে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গ্রেফতারের দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা৷
তথ্যসূত্র