সম্প্রতি “জুলাই আগস্টের হত্যাকান্ডে, চিফ প্রসিকিউটরের তাজুল ইসলাম এর সরাসরি জড়িতোর প্রমাণ মিলেছে।” শীর্ষক শিরোনামে মূলধারার সংবাদমাধ্যম সমকালের ডিজাইন সংবলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

এরূপ দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, “জুলাই আগস্টের হত্যাকান্ডে, চিফ প্রসিকিউটরের তাজুল ইসলাম এর সরাসরি জড়িতোর প্রমাণ মিলেছে।” শীর্ষক তথ্যে বা শিরোনামে সমকাল কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি বরং, ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় গণমাধ্যমটির ভিন্ন একটি ফটোকার্ড সম্পাদনার মাধ্যমে এই ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে সমকালের লোগো এবং ফটোকার্ডটি প্রচারের তারিখ হিসেবে ১৪ অক্টোবর উল্লেখ রয়েছে। এর সূত্র ধরে সমকালের ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডগুলো পর্যবেক্ষণ করে উক্ত শিরোনাম সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়াও সমকালের ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির বিষয়ে কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে, গত ১৪ অক্টোবরে “গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যার সব দায় শেখ হাসিনার” শীর্ষক শিরোনামে সমকালের ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি পর্যালোচনা করে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডের ছবি ও গ্রাফিক্যাল ডিজাইনের সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তবে আলোচিত ফটোকার্ডটিতে ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যার সব দায় শেখ হাসিনার’ শীর্ষক বাক্যের পরিবর্তে ‘জুলাই আগস্টের হত্যাকান্ডে, চিফ প্রসিকিউটরের তাজুল ইসলাম এর সরাসরি জড়িতোর প্রমাণ মিলেছে।’ শীর্ষক বাক্য লেখা হয়েছে।

অর্থাৎ, সমকালের এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করেই আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে।
মূল ফটোকার্ড সংবলিত পোস্টটির কমেন্টে পাওয়া এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে দেশজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ হিসেবে এর সব দায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ১৪ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার যুক্তি উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এই প্রতিবেদন এবং অন্যান্য গণমাধ্যম সূত্রে আলোচিত দাবিটির বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, “জুলাই আগস্টের হত্যাকান্ডে, চিফ প্রসিকিউটরের তাজুল ইসলাম এর সরাসরি জড়িতোর প্রমাণ মিলেছে।” শীর্ষক দাবিতে সমকালের নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত।
তথ্যসূত্র
- Samakal : Facebook Post





