সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও ফুটবলার হামজা চৌধুরীর একসাথে দুইটি ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, “একই মাঠে ফুটবলের দুই কিংবদন্তি”।
এরূপ দাবিতে প্রচারিত ছবি দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এরূপ একই দাবিতে ভিন্ন আরেকটি ছবিও ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, একই মাঠে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও ফুটবলার হামজা চৌধুরী দাবিতে প্রচারিত ছবি দুইটি আসল নয় বরং, ভিন্ন দুইটি ছবি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে প্রচারিত ছবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত প্রথম ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘ঢাকা মেইল’ নামক একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে “ফুটবলকে পুনর্জাগরিত করা হবে: ব্যারিস্টার সুমন” শীর্ষক শিরোনামে ২০২৩ সালের ০৯ জুনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

উক্ত প্রতিবেদনে সংযুক্ত একটি ছবির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে হামজা চৌধুরীর উপস্থিতি ব্যতিত সবকিছুর সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া, অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটি আসল হওয়ার সপক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রচারিত উক্ত ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার সাহায্যে তৈরি।
পরবর্তীতে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত দ্বিতীয় ছবিটি নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্টের ইউটিউব চ্যানেলে “ফুটবল খেলতে বরগুনায় ব্যারিস্টার সুমন, উৎসুক মানুষের ভিড়” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়।

উক্ত ভিডিওটির থাম্বনেলের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ছবিটির তুলনা করলে দেখা যায় হামজা চৌধুরীর জায়গায় প্রকৃতপক্ষে ভিন্ন একজন ব্যক্তি রয়েছেন। ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে উক্ত ব্যক্তির মুখমণ্ডলের স্থলে হামজা চৌধুরীর মুখমণ্ডল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
অর্থাৎ, একই মাঠে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও ফুটবলার হামজা চৌধুরী দাবিতে প্রচারিত এই ছবি দুইটি সম্পাদিত।