সম্প্রতি “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের শুক্রবার এর মেন্যু। আছে ওটিলিয়া দই, মেক্সিকান সেক্সি মুরগী, বেহেশতি ডাল এবং উট পাখির ডিম সহ আরো অনেক কিছু ” শীর্ষক দাবিতে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শুক্রবারের মেন্যুর প্রচারিত ছবিটি একটি স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গাত্মক আধেয় যেটি ঢাবি ক্যান্টিন থেকে শিক্ষার্থীদেরকে সরবরাহ করা খাবারকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের শুক্রবারের মেন্যুর প্রচারিত ছবিটির ব্যাপারে জানতে রিউমর স্ক্যানার টিমের পক্ষ থেকে আধেয়টির নির্মাতা রহমতউল্লাহ রবিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এ সময় রহমতউল্লাহ রবিন বলেন, আমাদের হলগুলোতে আপনি যদি মুরগী খান ৪০ টাকা গুনতে হবে, স্পেশাল মুরগী খেলে ৫০ টাকা গুনতে হবে৷ ব্যাপারটা হয়েছে কি, একই জিনিস কেবল শুরুতে কিছু একটা লিখে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু মুরগী না, সবগুলো আইটেমেই একই কাজ করে। এগুলো নিয়ে সবসময় কথা হয়, প্রতিবাদ হয়। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না। তাই আমি ভিন্ন কিছু করার চিন্তা করি। যাতে এই ব্যাপারগুলো সবার কাছে পৌঁছায়।
রহমতউল্লাহ রবিন বলেন, এই চিন্তা থেকে হলের ক্যান্টিনে গিয়ে খাবারের মেন্যুর একটা ছবি তুলে নিয়ে এসে ফটোশপ দিয়ে ক্যান্টিনের মতো করে তৈরির মাধ্যমে সম্পাদনা করি।
তিনি আরও বলেন, হল প্রশাসন থেকে যখনই অভিযান চালায়, তখনই পঁচা মাছ-মাংস পাওয়া যায়। কিন্তু হলের ক্যান্টিনগুলো চাইলেই আমাদেরকে ভালো, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়াতে পারে। তাই আমার এই উদ্যোগ। মানুষ জানুক।
মূলত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ক্যান্টিনগুলোর অস্বাস্থ্যকর, চড়া দামের খাবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রহমতউল্লাহ রবিন বিশ্ববিদ্যালয়টির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের খাবারের ক্যান্টিনের একটি মেন্যু প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করলে এটি ভাইরাল হয়ে যায়।
সুতরাং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের শুক্রবারের খাবারের মেন্যুর দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটি বাস্তব নয়, এটি একটি স্যাটায়ার।
তথ্যসূত্র
Conversation with Rahmatullah Robin