কোটা সংস্কার আন্দোলনে পাবনার রাফি নিহত হননি

গত জুলাই মাসের শুরু থেকেই দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। পরবর্তীতে আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার করা এক মন্তব্য এবং পুলিশের গুলিতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় তা ব্যাপকতা লাভ করে এবং পরবর্তীতে দেশব্যাপী হামলা, সংঘর্ষ ও সহিংসতায় বহু মানুষ প্রাণ হারান। এসবের মাঝে পাবনায় আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাফিউল ইসলাম রাফি নামের একজন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং মারা যাওয়ার সময় সে তার বাবা নেই ও ছোটবোনকে দেখে রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বলে ফেসবুকে দাবি করা হয়েছে। 

কোটা সংস্কার

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, পাবনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি মারা যায়নি বরং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং বর্তমানে সুস্থ আছেন। রাফির মা নেই, তবে বাবা বেঁচে আছেন৷ ছোট বোনকে দেখে রাখার বিষয়েও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

অনুসন্ধানের শুরুতে, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ডেইলি বাংলাদেশ এর গত ০৯ আগস্ট প্রকাশিত ‘বেঁচে আছেন পাবনার সেই রাফি!’ শিরোনামে একটি সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের বরাতে জানা যায়, রাফি গত ০৪ আগস্ট সংঘাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ০৮ আগস্ট বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি অংশ নেন। এছাড়াও,পাবনার স্থানীয় গণমাধ্যম Pabnabarta24.com গত ০৮ আগস্ট রাফির একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে। উক্ত সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, রাফির বাবা আছেন কিন্তু মা নেই এবং তিনি “আমার বাবা নেই, ছোট একটা বোন আছে। কেউ দেখে রাইখেন” শীর্ষক কোনো কথা বলেননি।

Screenshot: Rumor Scanner

সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাবনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাফিউল ইসলাম রাফি নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন, তার বাবা বেঁচে নেই এবং তার ছোট বোনকে দেখা রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন মর্মে ইন্টারনেটে প্রচারিত তথ্যগুলো মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img