গণধর্ষণ ও হত্যার শিকার নারীর মরদেহ দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশের নয় 

সম্প্রতি বাংলাদেশে এক নারীর গণধর্ষণের শিকার ও দুইদিন পর তার মরদেহ পাওয়া যাওয়ার দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)৷

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার নারীর মরদেহ পাওয়া যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওর ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটেনি বরং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সাম্প্রতিক ঘটনার ভিডিও উক্ত দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে৷ 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওতে লাশের উদ্ধারকাজ তদারকিতে একজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। উক্ত পুলিশ সদস্যের পরনে বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক নয় বরং ভারতীয় পুলিশের খাকি পোশাক দেখা যায়৷ এছাড়া, আলোচিত পোস্টগুলোর মন্তব্যের ঘরে অনেকেই ভিডিওটি ভারতের বলে দাবি করেছেন৷ 

পরবর্তী অনুসন্ধানে Shati Das নামক ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ২১ জানুয়ারি পোস্টে একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল রয়েছে৷ 

Comparison: Rumor Scanner 

ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসন্তী থানাধীন চুনাখালির মণ্ডলপাড়ার চিত্র, সেখানে তের বছর বয়সী একজন বালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। 

ভারতীয় গণমাধ্যম NDTV এর ওয়েবসাইটে গত ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত ‘Body Of Minor Girl Found In Bengal Town, Rape And Murder Suspected’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অষ্টম শ্রেনীর ওই বালিকা গত ০৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল৷ গত ২০ জানুয়ারি তার মরদেহ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসন্তীর একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়, ভুক্তভোগী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ 

সুতরাং, বাংলাদেশে একজন নারীর গণধর্ষণ ও হত্যা দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘটনার ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর। 

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img