চিরকুটসহ ধর্ষকের লাশ পাওয়া গেছে দাবিতে গণমাধ্যমের পুরোনো ভিডিও প্রতিবেদনের থাম্বনেইল প্রচার

সম্প্রতি ‘Real life kiraa is Back 💀 Death Note’ ক্যাপশনে ‘চিরকুটসহ আবারো ধর্ষকের লাশ’ তথ্য সম্বলিত ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একটি ভিডিও প্রতিবেদনের থাম্বনেইলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ে চিরকুটসহ ধর্ষকের লাশ পাওয়ার কোনো ঘটনার নয় বরং, ২০১৯ সালে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও প্রতিবেদনের থাম্বনাইলের ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি (Breaking) আবারো চিরকুটসহ ধর্ষকের লাশ, খুনির নাম ‘হারকিউলিস’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর থাম্বনাইলের ছবিটির সাথে প্রচারিত ছবিটির সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। 

Comparison: Rumor Scanner 

থাম্বনেইলে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, মূল থাম্বনেইলের সাথে জাপানি অ্যানিমে ‘Death Note’ এর চরিত্র লাইট ইয়াগামি বা ‘কিরা’ চরিত্রটির ছবি যুক্ত করে প্রচারিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। উল্লিখিত চরিত্রটি লাইট ইয়াগামি নামক একজন প্রতিভাবান উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রের, যে একটি রহস্যময় নোটবুক আবিষ্কার করে: ‘ডেথ নোট’, যা এটির ব্যবহারকারীকে যার নাম নোটবুকটির পৃষ্ঠাগুলোতে লেখা আছে তাকে হত্যা করার জন্য অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা প্রদান করে। লাইট ইয়াগামি ‘কিরা’ উপনাম ব্যবহার করে একটি অপরাধমুক্ত সমাজ তৈরি করতে হাই-প্রোফাইল অপরাধীদের হত্যা করে। 

ভিডিওটির বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের আঙ্গারিয়া গ্রামে একটি পরিত্যাক্ত ভাটা থেকে ধর্ষণ মামলার এক আসামীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের গলায় ঝুলানো চিরকুটে লেখা ছিলো ‘আমি পিরজপুরের ভানডারিয়ার কারিমা আক্তারের ধরষক রাকিব। ধরষকের পরিনতি ইহাই। ধরষকরা সাবধান। হারকিউলিস।’ নিহত রাকিব পার্শ্ববর্তী পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের বাসিন্দা এবং ভান্ডারিয়ার এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলার আসামি বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।

এই বিষয়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি “ঝালকাঠিতে আরেক ধর্ষকের লাশ উদ্ধার, হত্যাকারি ‘হারকিউলিস’।” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। 

অর্থাৎ, প্রচারিত ছবিটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়। 

সুতরাং, সাম্প্রতিক সময়ে চিরকুটসহ আবারো ধর্ষকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা দাবিতে ২০১৯ সালের ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের একটি ভিডিও প্রতিবেদনের থাম্বনাইলের ছবি প্রচার করা হয়েছে; যা মিথ্যা।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img