সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রলীগ রাস্তায় পুলিশের গাড়ি আটকে দিয়েছে।

উক্ত দাবির ফেসবুক ভিডিও দেখুন এখানে।
ফেসবুকে ইতোমধ্যেই এই ভিডিওটি ১ লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং এই ঘটনার সাথে ছাত্রলীগেরও কোনো সম্পর্ক নেই বরং, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময়ে এক তরুণীর পুলিশের গাড়ি রুখে দিয়ে দাঁড়িয়ে নিজের ভাইকে ছাড়াতে চেষ্টা করার সময়ের ভিডিও এটি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ইউটিউবে ২০২৪ সালের ০২ আগস্ট জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির বর্ণনা থেকে জানা যায়, ভার্সিটির বড় ভাইকে পুলিশ আটক করলে প্রিজন ভ্যানের সামনে ভাইকে ছাড়াতে দাঁড়িয়ে যান বোন।

একই বছরের ০১ আগস্ট মূল ধারার গণমাধ্যম আরটিভির এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে বছরের ৩১ জুলাই ঢাকার মৎস্যভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের গাড়ির সামনে একা দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির নাম নুসরাত নুর। আর পুলিশ যে ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছিল, তিনি নুসরাতের ভাই নুর হাসান। গ্রেপ্তারের আগে থেকেই ভাইকে যাতে পুলিশ নিয়ে যেতে না পারে, এজন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন বোন নুসরাত। তবে গ্রেপ্তার হওয়া নুর হাসান নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
জাতীয় আরেক দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়।
অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয়, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের সময়ের।
সুতরাং, সম্প্রতি ছাত্রলীগ রাস্তায় পুলিশের গাড়ি আটকে দিয়েছে দাবিতে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ভিডিও প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।