সম্প্রতি, ‘ঘুষ নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু সরকারি কর্মকর্তাদের!’ শীর্ষক শিরোেনামে একটি সংবাদ বাংলাদেশের দাবিতে মূলধারার গণমাধ্যম কালবেলার ফটোকার্ড যুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত গণমাধ্যমের ফটোকার্ড শেয়ার করে ফেসবুকে প্রচারিত কিছু পোস্ট দেখুন- এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘুষ নিতে সরকারি কর্মকর্তাদের কিস্তি ব্যবস্থা চালুর ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং ভারতের গুজরাটের ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে ব্যবহৃত কালবেলা’র ফটোকার্ডের সূত্র ধরে ম্যানুয়ালি অনুসন্ধানের মাধ্যমে মূল ধারার গণমাধ্যম কালবেলা’র ফেসবুক পেজে গত ৯ জুন এ সম্পর্কিত ফটোকার্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়।
গণমাধ্যমটির এই পোস্টের কমেন্টে দেওয়া এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উক্ত ঘটনাটি ভারতের গুজরাটের।
প্রতিবেদনটিতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিতে ৬ জুন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হয়, ঘুষ নিতে কিছুটা দয়াপরবশ হয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তারা এ ব্যবস্থা চালু করেছেন। আর এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।
প্রতিবেদনটির শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই তারা বিষয়টিকে বাংলাদেশের মনে করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন।
শিরোনামে দেশের নাম উল্লেখ না করে খবর দিয়েছে এমন আরো কিছু বাংলাদেশের গণমাধ্যমের নিউজ লিংক এখানে, এখানে।
পরবর্তীতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি’র ওয়েবসাইটে গত ৬ জুন ‘Corruption In Instalments? Officials Accept Bribes In EMIs In Gujarat’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের মধ্যস্থতাকারীরা মানুষকে সহজ “কিস্তিতে” ঘুষ দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
মূলত, ভারতের গুজরাটে সরকারি কর্মকর্তা এবং তাদের মধ্যস্থতাকারীরা কিস্তিতে ঘুষের টাকা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছেন। পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করে সংবাদ প্রচার করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টি বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করছেন।
সুতরাং, ভারতে ঘুষ নিতে সরকারি কর্মকর্তাদের কিস্তি ব্যবস্থা চালুর ঘটনাকে বাংলাদেশের দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- কালবেলা: ঘুষ নিতে কিস্তি ব্যবস্থা চালু সরকারি কর্মকর্তাদের!
- NDTV: Corruption In Instalments? Officials Accept Bribes In EMIs In Gujarat
- Rumor Scanner’s Own Analysis