সম্প্রতি “আম খান এবং তার উপর ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না! কয়েকজন পর্যটক চণ্ডীগড়ে গিয়েছিলেন। আম খাওয়ার পরপরই কোল্ড ড্রিংক পান করেন তিনি। তারা সবাই অসুস্থ এবং অজ্ঞান বোধ করতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের সবাইকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আম খাওয়ার পর কোনো কোল্ড ড্রিংক বা কোমল পানীয় পান করা উচিত নয়। আমের সাইট্রিক অ্যাসিড এবং কোল্ড ড্রিংকের জৈব অ্যাসিড একত্রিত হয়ে বিষ তৈরি করে।” শীর্ষক একটি দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আম খাওয়ার পর ঠান্ডা পানীয় পানে মৃত্যুর দাবিটি সঠিক নয় বরং উক্ত দাবিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে প্রচার করা হলেও এমন কোনো পরামর্শ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।
মূলত, ‘আম খাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানীয় পান করবেন না’ শীর্ষক শিরোনামে কিছু পোস্ট ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে দাবি করা হয় ভারতের চণ্ডীগড়ে আম খাওয়ার পরপরই কোল্ড ড্রিংক পান করে কিছু পর্যটক মারা যান। কিন্তু রিউমর স্ক্যানার টিম অনুসন্ধানে দেখেছে, উক্ত দাবিটি বানোয়াট। ভারতে এমন ঘটেনি। তাছাড়া, বিস্তর অনুসন্ধান করেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন কোনো গবেষণাপত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি, যেখানে বলা হয়েছে যে আম খাওয়ার পর ঠান্ডা পানীয় কিংবা কোমল পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে। একইসাথে, বেশ কয়েকজন চিকিৎসক ও গবেষক এই দাবিটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ, দাবিটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত নয়।
আলোচিত দাবিটি ২০২৩ সালেও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে রিউমর স্ক্যানার টিম সেসময় এটিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।