সম্প্রতি “লাইলি মজনু কেমন ছিলো দেখুন, চেহারা দেখে কখনোই ভালোবাসা হয়না” শীর্ষক শিরোনামে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
একই দাবিতে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম টিকটকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি লাইলি-মজনুর আসল ছবি নয় বরং ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সাধারণ দুইজন মানুষের ছবি সংযুক্ত করে আলোচিত ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে লাইলি-মজনু দাবিতে প্রচারিত ছবিতে থাকা পুরুষের ছবি রিভার্স ইমেজ সার্চে খুঁজে পাওয়া না গেলেও আলোচিত নারীর ছবিটি উইকিমিডিয়া কমনসে খুঁজে পাওয়া যায়। যেটিকে এডিটের মাধ্যমে কিছুটা পরিবর্তন করে তৈরি করা হয়েছে।
মূলত, ৫ম শতাব্দী থেকে লাইলি-মজনুর প্রেমকথা বেদুইন জনপদে প্রচলিত একটি জনপ্রিয় উপকথা। নাজামি গাজনবী নামে এক পার্সিয়ান কবি এই ভালোবাসার গল্পে মুগ্ধ হয়ে একটি মহাকাব্য রচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে সেটিই বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়ে লাইলি-মজনুর প্রেম-কাহিনী হিসেবে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সাধারণ দুইজন নারী-পুরুষের ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় একত্রিত করে লাইলি-মজনুর আসল ছবি দাবি করে ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।