৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে বিমানে শিশু জন্ম হওয়ার ঘটনাটি পুরোনো 

সম্প্রতি “৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে বিমানে জন্ম, আজীবন আকাশ ভ্রমণ ফ্রি!” শীর্ষক শিরোনামের একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে
পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে শিশুর জন্ম হওয়ার ঘটনাটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং সংবাদটি প্রায় পাঁচ বছর পূর্বের ঘটনা।

মূলত, ২০১৭ সালের জুনে ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট সৌদি আরবের দাম্মাম থেকে ভারতের কেরালার কোচির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর পথিমধ্যে আকাশের ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় এক গর্ভবতী যাত্রী বিমানের কেবিন ক্রু এবং ভ্রমণকারী একজন দক্ষ নার্সের সহায়তায় শিশুর জন্ম দেন। পরে জেট এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ তাদের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে শিশুটিকে আজীবন বিনামূল্যে আকাশ ভ্রমণের সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করে। বিমানে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সন্তান জন্মদানের ৫ বছর পুরোনো তথ্যটি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো তারিখ উল্লেখ না করেই পুনরায় বেনামি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ও ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ব্যবহৃত সংবাদের ফিচার ছবিতে কেবিন ক্রুদের শিশুকে ঘিরে রাখার যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিলে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ৪২ হাজার ফুট উচ্চতায় জন্ম নেওয়া শিশুর ছবি।

পূর্বেও একই বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছিল। বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।

আরও পড়ুন

spot_img