সম্প্রতি, সোলার প্যানেলের নিচে পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম শীর্ষক দাবিতে কয়েকটি ছবি সম্বলিত একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
যা দাবি করা হচ্ছে
প্রচারিত পোস্টে বলা হয়েছে-
“সোলার প্যানেলের নিচের পতিত জমিতে আমরা ফসল উৎপাদনের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেটি সফল হয়েছে। ছবিগুলো সিরাজগঞ্জে অবস্থিত সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের। উল্লেখ্য, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতে এ ধরণের উদ্যোগ এটিই প্রথম।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতি ইঞ্চি অনাবাদী জমিকে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনাবাদী জায়গাতে ছায়া ফসল (শেডস ক্রপস) চাষ করা হবে।”
ফেসবুকে প্রচারিত এমনকিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সোলার প্যানেলের নিচে পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয় বরং বাংলাদেশের পূর্বেও দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে উল্লিখিত উপায়ে কৃষি উৎপাদনের তথ্য পাওয়া যায়।
মূলত, গত ১২ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে কয়েকটি ছবিসহ প্রকাশিত একটি পোস্টে দাবি করা হয়, সোনার প্যানেলের নিচে পতিত জমিতে ফসল উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লিখিত উপায়ে ফসল উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই প্রথম নয় বরং বাংলাদেশের পূর্বেও দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশে তথা ভারত ও শ্রীলঙ্কাতেও উক্ত উপায়ে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পূর্বেও একই দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে সেসময় বিষয়টিকে মিথ্যা হিসেবে শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার।