শনিবার, মে 24, 2025

বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের মেয়েকে তুলে নেওয়ার দাবি: কথিত ‘অনু নু মার্মা’ আইডির পোস্টের সত্যতা মেলেনি

গতকাল (০১ মে) বিকাল ০৫ টা ০৮ মিনিটে ‘অনু নু মারমা (Anu Nu Marma)’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত একটি পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওই পোস্টে লেখা হয়, “আমার ছোট বোন আকিউ মারমা-কে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যাং চাকপাড়া থেকে বর্মা আর্মির লোকজন তুলে নিয়ে গেছে দুই ঘণ্টা আগে। আমি সেনাবাহিনীর কাছে বিচার দিয়েছি, কিন্তু তারা শুধু ‘দেখছে’ বলে আর কিছু করছে না। আমি নাইক্ষ্যংছড়িবাসীকে আমার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। দয়া করে সবাই শেয়ার করুন এবং বর্মার সন্ত্রাসীদের থেকে সতর্ক থাকুন।” 

পোস্টটি প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে অনলাইনে সক্রিয় এমন একাধিক এক্টিভিস্টদের (সুশান্ত দাশ গুপ্ত, নিঝুম মজুমদার, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং কাজী মামুন, টেলেন্ট কান্তি দাশ, অভিনেত্রী তারিন প্রমুখ) ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ারের মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়। পোস্টটি দেওয়ার মিনিট সাতেকের মধ্যে Ryan Draper নামের একটি প্রো-আওয়ামী লীগ অ্যাকাউন্ট থেকে এটি শেয়ার করা হয়। ফলে ৫২ জন ফেসবুক বন্ধু বিশিষ্ট ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এই পোস্ট অনেক দ্রুততম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক ছাড়িয়ে এই পোস্ট প্রচার হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমেও (ইন্সটাগ্রাম, টিকটক, এক্স)। 

ভাইরাল এই বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নেমে রিউমর স্ক্যানার জানতে পারে, কথিত অনু নু মারমা নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অনির্ভরযোগ্য। এই অ্যাকাউন্টটি পূর্বে শায়ান চৌধুরী নামে ব্যবহার হতো। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের এই ব্যক্তির নাম চৌধুরী সুজন বলে অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণে জানা যাচ্ছে। অ্যাকাউন্টটিতে আলোচিত পোস্টটি প্রকাশের পূর্বে একইদিন দুপুরে পুরোনো একাধিক পোস্ট সম্পাদনা করে তাতে পাহাড়িদের অধিকার সম্বলিত বিভিন্ন পুরোনো পোস্ট যুক্ত করা হয়। রিউমর স্ক্যানার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং সাংবাদিকদের সাথে আলাপের পর আলোচিত দাবিটি ভুয়া বলে নিশ্চিত হয়েছে।  

সন্দেহের চোখে: Anu Nu Marma ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিশ্লেষণ
প্রাথমিকভাবে ‘অনু নু মারমা’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে মাত্র ৫২ জন বন্ধু রয়েছে। অ্যাকাউন্টটিতে কাভার ফটো নেই এবং প্রোফাইল ছবির বাইরে কোনো ব্যক্তিগত ছবি পাবলিক প্রাইভেসিতে দেখা যায় না। অ্যাকাউন্টটি থেকে কেবল দুটি পেজে লাইক দেওয়া হয়েছে; অন্য কোনো পেজে লাইক পাওয়া যায়নি। এসব পর্যবেক্ষণে প্রাথমিকভাবে অ্যাকাউন্টটি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা বা সন্দেহ সৃষ্টি করে। এই সন্দেহ আরও জোরালো হয় যখন অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে থাকা অন্তত ৪-৫টি পাবলিক পোস্টে রিয়েক্ট দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলো পর্যালোচনা করা হয়। এসব রিয়েক্টদাতার অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে দেখা যায়, পোস্টগুলোতে কোনো পাহাড়ি/আদিবাসী/ উপজাতি পরিচয়ের অ্যাকাউন্টের রিয়েক্ট নেই। একজন পাহাড়ি মারমা তরুণীর পোস্টে পাহাড়ি আদিবাসী/উপজাতি কারো রিয়েক্ট না থাকাটা সন্দেহের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।

অ্যাকাউন্টটি অন্তত ২০২১ সাল থেকে সচল রয়েছে। প্রোফাইলে যে নারীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে সেটির বিষয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স সার্চসহ একাধিক পদ্ধতির ব্যবহারের পরও কোনো তথ্য মেলেনি। 

পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডার ইঙ্গিত: পোস্ট সম্পাদনা করে পাহাড়ি পরিচয় দেখানোর চেষ্টা

আলোচিত পোস্টটি দেওয়ার পূর্বে ‘অনু নু মারমা’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টের টাইমলাইনে মোট পাঁচটি পাবলিক পোস্ট দেখা যায়। এর মধ্যে একটি ছিল আমের ফটোগ্রাফি সংবলিত পোস্ট, যা পরবর্তীতে লুকানো বা মুছে ফেলা হয়। বাকি চারটি শেয়ার পোস্ট, যেগুলো পাহাড়ি আদিবাসী পরিচয় তুলে ধরে কিংবা প্রো-পাহাড়ি অবস্থান প্রকাশ করে। এসব পোস্ট এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময়ও অ্যাকাউন্টটির টাইমলাইনে রয়েছে। এগুলো দেখে অ্যাকাউন্টটিকে একজন প্রকৃত পাহাড়ি ব্যবহারকারীর বলে মনে হতে পারে। তবে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই চারটি শেয়ার পোস্টই আলোচিত পোস্টটি প্রকাশের পূর্বে দুপুর ১:১৫ থেকে ১:২৮-এর মধ্যে সম্পাদনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, আলোচিত পোস্টটি দেয়ার পূর্বে পোস্টগুলো সম্পাদনার মাধ্যমে অ্যাকাউন্টটির টাইমলাইনকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা একজন পাহাড়ি পরিচয়ের ব্যবহারকারীর ছাপ তৈরি করে। এতে পোস্টটি দেওয়ার পূর্বে পরিকল্পিতভাবে অ্যাকাউন্টের টাইমলাইন সাজানো হয়েছে বলে ইঙ্গিত করে, যা একটি উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর চেষ্টা বলে প্রতীয়মান হয়।

প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্যে অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন? 

‘অনু নু মারমা’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চট্টগ্রামভিত্তিক একটি ফেসবুক গ্রুপে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া গত বছরের একটি রক্ত অনুসন্ধানের পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটির কমেন্ট ঘেঁটে সে সময় অ্যাকাউন্টটির নাম ‘Sayan Chy’ ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। একাধিক ব্যবহারকারী কমেন্টে ওই নাম মেনশন করে জিজ্ঞেস করেন, “রক্ত পাইছেন?”, “রোগীর সমস্যা কী?”। মেনশন করা Sayan Chy নামটিতে ক্লিক করলে সেটি বর্তমানে ‘Anu Nu Marma’ অ্যাকাউন্টে নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, অন্তত গত বছর পর্যন্ত অ্যাকাউন্টটি ‘Sayan Chy’ নামে এবং একজন পুরুষ ব্যবহারকারী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

এর আগের অংশে দেখা গেছে, কীভাবে আলোচিত পোস্ট দেওয়ার আগে টাইমলাইনের পোস্টগুলো সম্পাদনা করে প্রো-পাহাড়ি ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অ্যাকাউন্টের নামও বদলে পাহাড়ি নারীর পরিচয় তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে বলেই প্রতীয়মান। যদিও নাম পরিবর্তনের সময় নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে তথ্যগুলো একে সুপরিকল্পিতভাবে একটি পাহাড়ি নারীর পরিচয় তৈরির ইঙ্গিত দেয়।

এদিকে প্রোফাইলটির অ্যাবাউট সেকশনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অ্যাকাউন্টধারীর নাম চৌধুরী সুজন (Chowdhury Sujan)। তিনি একজন পুরুষ এবং পেশায় শিক্ষার্থী। অবস্থান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এবং বাড়িও চট্টগ্রামে বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও প্রোফাইলের নাম ও লিঙ্গ পরিবর্তন করা হয়েছে, তবে অ্যাবাউট সেকশনের পুরোনো তথ্যগুলো এখনও বিদ্যমান রয়েছে।

ঘটনাটি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রতিনিধিদের বক্তব্য

‘অনু নু মারমা’ নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ক্রোক্ষ্যাং চাকপাড়া এলাকা থেকে তার কথিত ছোট বোন, একজন মারমা তরুণীকে “বর্মা আর্মির লোকজন” তুলে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে রিউমর স্ক্যানারের পক্ষ থেকে প্রথমেই এডভান্স এবং কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে খোঁজ নেওয়া হয়, উক্ত পোস্টের বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আর কোনো বাসিন্দা, বিশেষ করে ঐ এলাকা বা সম্প্রদায়ের কেউ সামাজিক মাধ্যমে কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কিনা। তবে অনুসন্ধানে এমন কোনো প্রতিক্রিয়ার হদিশ পাওয়া যায়নি। সাধারণত, কোনো এলাকায় এমন একটি অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে, প্রশাসনের নজরে আসে, এবং একাধিক পোস্ট, প্রতিবাদ কিংবা ছবি প্রকাশ পায়। কিন্তু এই ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান সামাজিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে এই বিষয়ে জানতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “এখন পর্যন্ত তথ্যটি সত্য বলার মতো কোনো সূত্র আমাদের কাছে নেই।”

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বান্দরবান জেলার স্থানীয় সাংবাদিক সুফল চাকমা, যিনি নিজেও বিষয়টি নিজ উদ্যোগে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি রিউমর স্ক্যানারকে জানান, তিনি ঘটনাটি যাচাই করতে ইউএনও, বিভিন্ন সাংবাদিক এবং দোছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাবীব উল্লাহর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কোনোভাবেই ঘটনাটির কোনো সততা বের করতে পারেননি। সাবেক চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “যে পাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে বলা হচ্ছে, সেখানে এমন কিছু ঘটলে তা আমার জানা থাকতো। গতকাল তো নয়ই, গত কয়েক মাসেও এমন কোনো ঘটনা ওই এলাকায় ঘটেনি।” এই সাংবাদিক ঘটনাটি গুজব বলে আমাদের জানান। 

বিষয়টি নিয়ে রিউমর স্ক্যানারের সাথে বিস্তারিত আলাপ হয় নাইক্ষংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসরুরুল হকের সাথেও। মোঃ মাসরুরুল হক রিউমর স্ক্যানারকে জানান, “আমরা ঘটনাটি নিয়ে নানাভাবে খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু এমন কোনো ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই নামে ওই এলাকায় কাউকে শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি।”

ওসি জানান, তিনি বিষয়টি যাচাই করতে স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের একজন পরিচিত ফুটবলারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তিনিও ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নিয়ে এমন কোনো ঘটনার তথ্য দিতে পারেননি।

এদিকে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে বান্দরবান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং সাবেক ফুটবলার উছাই মং মারমা’র একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে উছাই মং মারমা ‘অনু নু মারমা’ নামক অ্যাকাউন্টের পোস্টকে ভুয়া হিসেবে উল্লেখ করে জানান, “গতকাল Anu nu Marma নামক এক ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটিতে বলা হয়েছে যে ক্রোক্ষ্যং চাক পাড়া হতে আরাকান বর্মী কতৃক এক মারমা মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে বলে যে নিউজ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়া। আমি গতকাল রাতে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জেনেছি যে, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া নিউজ।”

নাইক্ষংছড়ি থানার ওসি রিউমর স্ক্যানারকে আরও জানিয়েছেন, যে এলাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি অনেক গহীনে অবস্থিত। ওই এলাকায় মূলত চাক জনগোষ্ঠীর বসবাস। ওদিকে বিজিবি রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমেও তিনি ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছেন বলে জানান। সর্বোপরি, ঘটনাটিকে থানার পক্ষ থেকে অসত্য এবং গুজব বলে রিউমর স্ক্যানারকে জানানো হয়।

‘অনু নু মারমা’র আলোচিত সেই পোস্টে বান্দরবনের স্থানীয় সাংবাদিক উসিথোয়াই মারমার একটি মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি লিখেছেন, “এটা খুব সম্ভবত ফেইক অ্যাকাউন্ট হবে। এতজন মন্তব্য করেছে, কাউকে কোনো কিছু উত্তর দিচ্ছে না। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য আমরা বারবার নক করেছি। তাও ভালো-মন্দ কোনো জবাব নেই। উনি যে জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন, সেখানে কোনো মারমা পাড়া নেই। ওখানে চাক সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে। সেখানে কোনো সেনা ক্যাম্পও নেই, আছে বিজিবি ক্যাম্প। তাছাড়া বোনের নাম ‘আকিউ মারমা’ লিখেছেন; এই নামও তো ঠিক নাই। তার বোন হলে অন্তত নাম পর্যন্ত ঠিকভাবে লিখতে পারত। শেষ পর্যন্ত এটা ফেইক অ্যাকাউন্ট এবং ফেইক মেসেজ হতে পারে।”

রিউমর স্ক্যানার পরবর্তীতে উক্ত এলাকায় অর্থাৎ ক্রোক্ষ্যাং-এর স্থানীয় স্থায়ী বাসিন্দাদের সাথে আলাপ করেছে। তারাও নিশ্চিত করেছেন যে তারা এমন কোনো ঘটনার বিষয়ে শোনেননি।

অর্থাৎ, ‘অনু নু মারমা’ অ্যাকাউন্টের পোস্টে উল্লিখিত ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে কেউই কোনো প্রমাণ বা সত্যতা পাননি।

সুতরাং, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ‘অনু নু মার্মা’ ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি অনির্ভরযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে এবং তার কথিত ছোট বোনকে মায়ানমারের কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী অপহরণ করেছে শীর্ষক দাবিরও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

তথ্যসূত্র

  • Rumor Scanner Investigation and Analysis
  • Statement from the UNO, Naikhongchhari
  • Statement from the OC, Naikhongchhari Thana
  • Statements from Local Journalist and Representatives
  • Facebook Post by Osai Sang Marma

আরও পড়ুন

spot_img