বিভিন্ন কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি অন্যতম কারণ। আবার অনেক সময় রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে করোনারি রক্তনালি ব্লক হয়ে জায়গাটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের কারণে। হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কিত নানাবিধ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা দেখা যায়।
হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানোর নমুনা
১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Azam Khasru” নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১৪ জুলাই “ডাক্তার এর পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ (আর্কাইভ)” শিরোনামে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়। (যদিও পোস্টটির শেষে সংগৃহীত উল্লেখ করা হয়েছে)
২. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Masudul Islam” নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে গত ৮ এপ্রিল “এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমি নিজে!!! (আর্কাইভ)” শিরোনামে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।
৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Dr.Rejwan Gani Mazumder-Physiotherapist” নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১৬ এপ্রিল “ এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমি নিজে!!! (আর্কাইভ)” শিরোনামে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়। (যদিও পোস্টটির শেষে সংগৃহীত উল্লেখ করা হয়েছে তবে তা প্রাথমিকভাবে পাঠকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়ে যায়)
এছাড়াও, একই দাবি বিভিন্ন সময় নানাবিধ সংস্করণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়ে আসছে।
সমজাতীয় দাবি বিভিন্ন সংস্করণে
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Sydur Rahaman Liton নামের একজন ব্যবহারকারী- প্রাণের ব্রাহ্মণপাড়া শহর ” নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ১১ এপ্রিল “এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমার বন্ধু !!!” (আর্কাইভ)” শিরোনামে একটি তথ্য প্রকাশ করা করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও। (যদিও পোস্টটির শেষে সংগৃহীত উল্লেখ করা হয়েছে)
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Ajanta Deb Roy ” নামের একটি প্রোফাইল থেকে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল “”যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ: (আর্কাইভ)” শিরোনামে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, আমরা প্রায়ই শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলা হঠাৎ মারা গেছেন। এটার একটা কারন হচ্ছে রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাত কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্নও বদলে দেয়। (যদিও অনুবাদের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে)
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “JKLifestyle Fitness for health With👉(Dr.Jahangir kabir)” নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে একজন ব্যবহারকারী গত ২১ এপ্রিল “এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমি নিজে!!” (আর্কাইভ)” শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ডাক্তার তাসনিম জারার বরাতে একটি তথ্য প্রকাশ করা করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, হুট্ করে ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার দরুন আপনার ব্রেইনে সঠিক ভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারেনা, যার ফলে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মত ঘটনাও।
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়লে ব্রেইনে সঠিকভাবে অক্সিজেন না পৌঁছানোর ফলে হার্ট এ্যাটাক হতে পারে দাবির সূচনা
অনুসন্ধান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে Sara Marie Reid নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ২০১৯ সালের ৩১ আগষ্ট Avoid sudden death at night a doctor gives advice. শিরোনামে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়, হঠাৎ ঘুম থেকে উঠলে মস্তিষ্ক রক্তশূন্য হয়ে পড়বে এবং রক্তের অভাবে হার্ট ফেইলিওর হবে। এজন্য সাড়ে তিন মিনিট কিছু বিষয় অনুশীলন করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা হল: আপনি যখন জেগে উঠবেন, তখন দেড় মিনিটের জন্য বিছানায় থাকুন। এছাড়াও আরও দুটি পরামর্শ দেয়া হয়।
আরও অনুসন্ধান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে Leody B Miranda নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ২০১৬ সালের ১৮ জুন SUDDEN UNEXPECTED DEATH AT NIGHT (ফিলিপাইনের) শিরোনামে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়, শুয়ে থাকা অবস্থান থেকে খুব তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ানোর ফলে মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবাহের অভাব হয়। এজন্য ” সাড়ে ৩ মিনিট বিরতি” খুবই গুরুত্বপূর্ণ (অনুবাদিত)।
অর্থাৎ প্রথমে উল্লিখিত Sara Marie Reid এর পোস্টটি Leody B Miranda এর ২০১৬ সালের ১৮ জুন প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছে। (যদিও পোস্টটিতে কিছুটা সংযোজন- বিয়োজন রয়েছে)।
দাবিটি (সমজাতীয় সহ) বাংলা ভাষায় প্রচারের সূচনা
উল্লিখিত তথ্যটির প্রায় হুবহু প্রথম বাংলা অনুবাদ ফেসবুকে “Ajanta Deb Roy ” নামের একটি প্রোফাইল থেকে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল “”যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ” শিরোনামে প্রকাশ করা হয়। তবে বাংলা অনুবাদে মোট সময় সাড়ে তিন মিনিটের পরিবর্তে দেড় মিনিট বলা হয়। এছাড়াও পোস্টটিতে পরবর্তী তিনটি পরামর্শেও সময়সহ বিভিন্ন স্থানে কিছুটা পরিবর্তন করে প্রকাশ করা হয়।
পরবর্তীতে, ২০২২ সালের ৮ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “Masudul Islam” নামের একটি প্রোফাইল থেকে “এই ডাক্তারি পরামর্শটির বাস্তব উদাহরণ আমি নিজে!!! ” শিরোনামে কিছুটা সংযোজন – বিয়োজন করে প্রকাশ করা হয়। পোস্টটিতে শিরোনাম পরিবর্তন করে এবং শুরুতে নিজের সাথে ঘটেছে দাবিতে কিছু বাক্য সংযোজন সহ বাকি তথ্য ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিলে প্রকাশিত “Ajanta Deb Roy ” এর “”যারা রাত্রে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন তাদের জন্য ডাক্তারদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ” পোস্টটির তথ্যের ন্যায় হুবহু একই রেখে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞগণ কী বলছেন
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান পলিটিফ্যাক্ট এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার এবং স্লিপ মেডিসিন এর সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সিনা গারিব বলেছেন, দাবিটির সত্যতার কোনও প্রমাণ তিনি কখনও পাননি।
পাশাপাশি, ব্রিস্টল ইউরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের ইউরোলজিক্যাল সার্জন এবং অধ্যাপক ডাঃ হাশিম হাশিম বলেন, যদি কেউ বাথরুম ব্যবহার করার জন্য দ্রুত বিছানা থেকে উঠে যায়, তবে “পোস্টুরাল হাইপোটেনশন” নামক একটি কারণে তাদের রক্তচাপ কমে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। যদি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের মাথায় শক্ত কিছুতে আঘাত পেলে সে কারণে মারা যেতে পারে। কিন্তু অন্য কিছুতে আঘাত না পেয়েও শুধুমাত্র দ্রুত বিছানা থেকে উঠে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাননি।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ডাক্তার তাসনিম জারার বরাতে আলোচ্য দাবিটি প্রকাশ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “পোস্টুরাল হাইপোটেনশন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বসা থেকে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে আমরা কিছু সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকি কিন্তু আলোচিত দাবিটি সাধারণ মানুষদের ক্ষেত্রে সত্য নয় (আর্কাইভ)।
এছাড়াও, দেশীয় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট-ওয়াচ এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়; শেফিল্ড ইউনিভার্সিটি তে পি.এইচ.ডি’রত ডাক্তার মারুফুর রহমান অপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার জন্য দ্রুত দাড়ালে স্ট্রোক হয় এমন কোন প্রমাণ নেই (আর্কাইভ)।
হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলে অন্য কোনও সমস্যা হতে পারে কি ?
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান পলিটিফ্যাক্ট এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন স্কুল অফ মেডিসিনের পালমোনারি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার এবং স্লিপ মেডিসিন এর সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সিনা গারিব বলেছেন, ” বয়স্কদের ক্ষেত্রে ( সাধারণত রক্তচাপের ওষুধ ব্যবহার করলে, কেননা এর ফলে ডিহাইড্রেশন হয়) এবং হঠাৎ অলস বসা থেকে সোজা অবস্থানে উঠলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এছাড়াও “মস্তিষ্কে নিম্ন রক্তচাপ, মাথা ঘোরা এমনকি অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাব লাগতে পারে তবে এতে মৃত্যু ঘটবে না।”
এটি “অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশন” নামে পরিচিত এবং এই ধরনের ক্ষেত্রে লোকেরা কীভাবে বিছানা থেকে উঠবে সে সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। “প্রাথমিকভাবে বসা তারপর ওঠা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
রাতে মৃত্যু ঘটতে পারে অনেক কয়েকটি কারণে, মাদকের অতিরিক্ত মাত্রার কারণে মৃত্যু ঘটতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি “হঠাৎ কার্ডিয়াক মৃত্যু” হিসাবে পরিচিত। এটি প্রায়ই একটি অন্তর্নিহিত করোনারি হৃদরোগের কারণে হয় যা সাধারণভাবে সনাক্ত করা হয় না। এমন কিছু প্রমাণও রয়েছে যে চিকিত্সা না করায় অস্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়ায় হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
পাশাপাশি, ব্রিস্টল ইউরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউটের ইউরোলজিক্যাল সার্জন এবং অধ্যাপক ডাঃ হাশিম হাশিম বলেন, মিকচারেশন সিনকোপ নামে একটি অবস্থা রয়েছে। যদি কেউ বাথরুম ব্যবহার করার জন্য দ্রুত বিছানা থেকে উঠে যায়, তবে “পোস্টুরাল হাইপোটেনশন” নামক একটি কারণে তাদের রক্তচাপ কমে যেতে পারে। হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণে কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং, যদি তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং পড়ে যাওয়ার কারণে তাদের মাথায় শক্ত কিছুতে আঘাত আঘাত পেতে পারে এবং তার কারণে মারা যেতে পারে।
একই বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো।
সুতরাং, অনুসন্ধানে হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়লে ব্রেইনে সঠিকভাবে অক্সিজেন না পৌঁছানোর ফলে হার্ট এ্যাটাক হওয়া কিংবা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হওয়ার কোনও সত্যতা পাওয়া যায়না। তবে, একটি নির্দিষ্ট রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত রক্তচাপের ওষুধ ব্যবহার করলে, ডিহাইড্রেশন এর ফলে; হঠাৎ অলস বসা থেকে সোজা অবস্থানে উঠলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এমনকি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এসকল ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে নিম্ন রক্তচাপ, মাথা ঘোরার উদাহরণ পাওয়া যায়। কিন্তু আগে থেকে কোনও নির্দিষ্ট কিছু রগে আক্রান্ত না থাকলে, হঠাৎ ঘুম থেকে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়লে অক্সিজেনের অভাবে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়না। এছাড়াও এতে মৃত্যু ঘটবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।