প্লাস্টিকের ডিম বাস্তব নাকি মিথ?

নানা প্রোটিন ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার ডিম নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে নানা ভুল ধারণা। বর্তমান সময়ে এই প্রচলিত ধারণার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাজারে যাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের ডিম৷ কিন্তু আসলেই কি বাজারে প্লাস্টিক ডিম পাওয়া যায়? প্লাস্টিক ডিম উৎপাদন, আমদানি কি মূল ডিমের চেয়ে সাশ্রয়ী? কেন প্লাস্টিকের ডিমের প্রচারণা এলো?

প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত কিছু নমুনা 

১. সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “রংপুরের সিওবাজারে প্লাস্টিক  ডিম সন্দেহে অভিযান। ডিমগুলো ভালো কি না সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি লাইভ খুঁজে পাওয়া যায়। 

২. প্লাস্টিকের ডিম চেনার উপায় শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত কৌশল: 

* ডিম ভাঙার পর সাদা অংশ ও কুসুম এক হয়ে যায়।

* সাধারণ ডিমের চেয়ে এই ডিম বেশি ঝকঝকে।

* এর খোলস বেশি শক্ত। খোলের ভেতর রাবারের মতো লাইন থাকে।

* ডিম ঝাঁকালে পানি গড়ানোর মতো শব্দ হয়।

* প্লাস্টিকের ডিমে কোনো গন্ধ থাকে না।

*  আসল ডিম ভাঙলে মুড়মুড়ে শব্দ হয়। কিন্তু প্লাস্টিকের ডিমে তেমন শব্দ হয় না।

* আসল ডিম ভেঙে রেখে দিলে পিঁপড়া বা পোকামাকড় আসে। কিন্তু নকল ডিমে পোকামাকড় আসে না। 

৩. ডিম প্লাস্টিকের কিনা কীভাবে চিনব? শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত আরও কিছু কৌশল: 

গত কয়েক বছরেই শোনা যাচ্ছে দেশের বাজারে প্লাস্টিকের ডিম ছেয়ে গেছে। চীনে তৈরি এই নকল ডিম একেবারে আসলের মতো দেখতে। তাই তো খালি চোখে দেখে বোঝা সম্ভব নয়, কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল।

প্লাস্টিকের ডিম তৈরী করতে লাগে জিপসাম পাউডার, প্যারাফিন ওয়েক্স, বেনজোয়িক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, জিলেটিন, সোডিয়াম অ্যালগিনেট এবং সেলিকাম কার্বোনেটের মতো রাসায়নিক। এই ডিম খেলে লিভার খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো আছেই সেই সঙ্গে নার্ভ সেল ড্যামেজ এবং পেটের নানাবিধ রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়।

আসল ডিমের সঙ্গে প্লাস্টিক ডিমের পার্থক্য সহজে বোঝা যায় না। তবে একটু সাবধান হলে সহজে নকল ডিম ধরা যায়।

এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে, সেগুলো হল:

প্লাস্টিকের ডিমের খোলা খুব চকচক হবে দেখতে। কারণ আসল ডিমের খোসা একেবারেই উজ্জ্বল হয় না। এই পার্থক্য়টা দেখে সহজেই আপনি বুঝে যেতে পারবেন কোন ডিমটা আসল, আর কোনটা নকল।

এবারে ডিমের খোসায় একটু আঙুল বোলালে ঠিক উল্টো অনুভূতি হবে। আঙ্গুল বোলালে যদি দেখেন খোসাটা মসৃণ, তাহলে বুঝবেন ডিমটি আসল। কারণ নকল ডিমের খোসা একটু হলেও খসখসে হবে ।

আসল ডিম ভাঙার পর খুব সহজেই কুসুমটা সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। কিন্তু নকল ডিমের ক্ষেত্রে কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশে লেগে থাকা তরল এক সঙ্গে মিশে যাবে। এর খোলস বেশি শক্ত। খোলের ভেতর রাবারের মতো লাইন থাকে।

প্লাস্টিকের ডিমে কোনো গন্ধ থাকে না।

আসল ডিম ভেঙে রেখে দিলে পিঁপড়া বা পোকামাকড় আসে। কিন্তু নকল ডিমে পোকামাকড় আসে না।

ডিমের খোসাটা আগুনে ফেলে দেখুন । যদি সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়, তাহলে বুঝবেন ডিমটা নকল। প্রসঙ্গত, আগুনে পোড়ার সময় প্লাস্টিক পোড়ার মতো গন্ধও বের হবে। এই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।

৪. ঢাকা শহরের আশপাশ এলাকায় ভরে যাচেছ এই প্লাস্টিকের ডিম সাবধান সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে  ফাস্টফুট দোকান গুলোতে।

প্লাস্টিকের ডিমের অস্তিত্ব আছে কি?

প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে  M Ishaq Choudhry নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৭ সালের ১৯ মে How its made plastic eggs শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে প্লাস্টিক ডিম তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হয়। 

কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, ফ্রান্স ভিত্তিক সংবাদ প্রতিষ্ঠান France 24 এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওতে দেখানো ডিমগুলো কোনো ভুয়া বা প্লাস্টিকের ডিম নয়। এটি মূলত slime, যা শিশুদের জন্য তৈরী করা এক জাতীয় খেলনা।

এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন দেখে মনে হয় একটি আস্ত ডিম। এমন একটি slime নিয়ে ২০১৬ সালে ইউটিউবে প্রচারিত একটি ভিডিওতে খেলাধুলা করতেও দেখতে যায়। 

অর্থাৎ ইউটিউবে প্লাস্টিকের ডিম তৈরির প্রক্রিয়ার দাবিতে দেখানো ভিডিওটি সত্য নয়। 

ভারতে প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে ২০১৮ সালে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মাঝে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনা দেয়। 

নির্দেশনাটিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্লাস্টিক ডিম বা কৃত্রিম ডিমের ধারণাটি রূপকথার মতো৷ কারণ, প্লাস্টিক বা কৃত্রিম ডিম তৈরি করার এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যেটা দেখতে হুবহু প্রাকৃতিক ডিমের মতো সাদৃশ্য হবে। 

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর প্লাস্টিকের ডিমের অস্তিত্ব ও এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্লাস্টিক চাল বা প্লাস্টিকের ডিম নিয়ে মিথ্যা আতংক তৈরি করছে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গণবিজ্ঞপ্তি

ভারতের সেই সময়ের এই ঘটনার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। বাংলাদেশের মূলধারার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন করে যে, ভারতের কলকাতার বাজারে ‘প্লাস্টিকের ডিম’ পাওয়া গেছে। যা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও ঢুকছে। দৈনিক মানব জমিন প্রতিবেদন করে, চট্টগ্রামে প্লাস্টিকের ডিমের ছড়াছড়ি, আতঙ্ক। দৈনিক জনকণ্ঠ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে প্লাস্টিকের বিপুল নকল ডিম উদ্ধার নিয়ে প্রতিবেদন করে৷ 

কিন্তু এসব প্রতিবেদনের কোথাও এগুলো আসলেই প্লাস্টিকের ডিম কি না তা নিয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হয়নি।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত এসব সংবাদের ভিত্তিতে বিভ্রান্তি দূরীকরণে গণমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। 

এই গণবিজ্ঞপ্তিতে বাজারে নকল ডিমের কোনো অস্তিত্ব নেই। নকল ডিম নিয়ে বাজারে হৈ চৈ পড়লেও এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নকল ডিমের তথ্য নিয়ে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে এগুলো অসত্য প্রতিবেদন, অসত্য তথ্য নিয়ে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।

“প্লাস্টিকের ডিম” চেনার কথিত উপায়

এই পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই, প্লাস্টিকের ডিম বলে আসলে কিছু নেই৷ তবুও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্লাস্টিকের ডিম শনাক্ত করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে পাওয়া যায়। 

কিন্তু বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান jachai.org এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিম চেনার এই উপায়গুলো মূলত ইন্টারনেট থেকে লব্ধ কিছু তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি। 

এসব প্রকাশের পূর্বে কোন প্রকার গবেষণা কিংবা বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করা হয়নি। অর্থাৎ, এসব তথ্য লোকমুখে শোনা কিন্তু গবেষণালব্ধ নয়।

যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে বদলে যাওয়া ডিমকে মনে হতে পারে প্লাস্টিকের ডিম:

ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনায় জানায়, ডিম একটি পচনশীল পন্য, এর যথাযথ সংরক্ষণ জরুরি। তাই ফ্রিজের বাইরে রাখলে ডিম যেমন একদিনে নষ্ট হয়ে যেতে পারে তেমনি আবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করলে ৪ থেকে ৫ দিন ভালো থাকতে পারে। 

সাধারণত ঘরোয়া তাপমাত্রায় রাখা ডিম ১০-১২ দিন নিজেদের সতেজতা ধরে রাখতে পারে। কিন্তু এই সময়ে সংরক্ষণাগারের তাপমাত্রার কারণে ডিমের উপরের খোসার জীবনকাল কমে যায়। এই জীবনকাল রক্ষায় সদ্য পাড়া ডিমকে হিমায়িত সংরক্ষণাগারে রাখতে হবে অথবা ডিমের খোসা বিশেষ করে ডিমের খোসার বায়ু প্রকোষ্ঠগুলো অনুমোদিত তেল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। 

এছাড়া বিভিন্ন তাপমাত্রায় ডিম যখন পরিবহন ও সংরক্ষণ করা হয় তখনও ডিমের খোসার এই বায়ু প্রকোষ্ঠ সহ ডিমের অভ্যন্তরে নানাবিধ পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে ডিম ভাঙার পরে এটিকে প্লাস্টিকের ডিম বা কৃত্রিম ডিম বলে মনে হতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১৯ সালে “প্লাস্টিকের চাল বা প্লাস্টিকের ডিম বলতে কি কিছু আছে? শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদনটির লেখক রাগিব হাসান প্লাস্টিক ডিমের দাবিতে প্রচারিত একটি ভিডিওকে উদ্ধৃত করে বলেন, “বাংলাদেশের একজন ক্রেতা বাজার থেকে ডিম কিনে এনে দেখেছেন ভেতরের কুসুমটা অদ্ভুত হয়ে গেছে। 

আর ডিমের খোসার ঠিক নিচে একটা কাগজের মতো কিছু, প্লাস্টিক প্লাস্টিকভাব লাগছে। এটাকে মোক্ষম প্রমাণ হিসেবে তিনি পেয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যেন এটা নকল ডিম, খোদ চীন থেকে পাঠানো।”

পরবর্তীতে এ ভিডিওয়ের ব্যাখ্যায় তিনি লিখেন, “বাংলাদেশের গরমে দোকানে বাইরে ডিম বেশিদিন রাখলে তা পচবেই, আর পচা ডিমের কুসুমও অবধারিতভাবেই ও রকম দেখাবে। কিন্তু খোসার নিচের “প্লাস্টিক” এর আবরণটা? 

ঘটনা হলো ডিমের ভেতরে খোসার ঠিক নিচে একটা পাতলা মেমব্রেন বা আবরণ থাকে বটে। ডিম কড়া রোদে বেশিদিন থাকলে সেটা শুকিয়ে কাগজের মতো হতে পারে। তাই বলে তাকে প্লাস্টিক বা কাগজ মনে করাটা ছেলেমানুষি রকমের হাস্যকর।”

প্লাস্টিকের ডিম তৈরি যদি সম্ভবও হয় তবু কি তা লাভজনক হবে?

যুগান্তরের একই প্রতিবেদনে লেখক বলেন, “বাংলাদেশের বাজারে একটা ডিমের দাম ৮ টাকার মতো। 

এখন ভেবে দেখুন, একটা নকল ডিম বানাতে যা লাগে, সেটা কয়েক হাজার মাইল দূরে চীন থেকে বাংলাদেশে রফতানি করার খরচসহ ৮ টাকার কমে কি দেয়া সম্ভব? 

দোকানদার আপনাকে ৮ টাকায় একটা ডিম বেচলে অবশ্যই লাভ রেখে বিক্রি করছে। কাজেই তার কেনা দাম ৮ টাকার অনেক কম। তাই হিসাবটা কি মিলে? দুনিয়ার সব ডিম ব্যবসায়ীরা কি অনেক টাকা লস দিয়ে নকল ডিম বিক্রি করবে, যেখানে আসল ডিম সস্তায় মুরগির কাছ থেকে পাওয়া যায়?”

তার এই যুক্তির সাথে মিল পাওয়া যায় ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান jachai.org এর প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গেও।

প্রতিবেদনটিতে তারা জানায়, “অনলাইনে প্রচারিত নকল ডিম বানানোর প্রক্রিয়া বেশ শ্রম ও সময়সাধ্য। এই প্রক্রিয়ায় একজন ব্যক্তি ৮ ঘণ্টা কাজ করে ডিম তৈরি করতে পারে সর্বোচ্চ ৮০-১০০ টি। বড় পরিসরে এই হারে ডিম উৎপাদন করা কোনভাবেই ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না। এছাড়া লোকবল খরচের পাশাপাশি এই ডিমগুলো তৈরিতে যে যন্ত্রপাতি ও উপাদানগুলো ব্যবহার করতে হয়, সেসবের খরচ মিলে প্রতি ‘নকল’ ডিমের উৎপাদন ব্যয়, একটি সাধারণ ডিমের উৎপাদন ব্যয়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।”

মূলত, কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও এবং তথ্যের আলোকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিকের ডিমের একটি তথ্য ছড়িয়ে আসছে। যার সাথে বৈজ্ঞানিক কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বরং ডিম যথাযথ সংরক্ষণ না করা, ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় পরিবহন, সংরক্ষণ ইত্যাদি কারণে ডিমের সামগ্রিক গঠনে পরিবর্তন ঘটে ডিমের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হতে পারে। যার কারণে আসল ডিমকে দেখলেই অস্বাভাবিক লাগতে পারে। 

সুতরাং, প্লাস্টিকের ডিম বিষয়টি পুরোটাই একটি মিথ বা রূপকথা। যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্লাস্টিক বা কৃত্রিম ডিম তৈরি করার এমন কোনো প্রযুক্তি নেই যেটা দেখতে হুবহু প্রাকৃতিক ডিমের মতো সাদৃশ্য হবে।

তথ্যসূত্র

France24.com: No, the Chinese aren’t trying to poison us with plastic eggs

Jachai.org: বাজারে কি ‘নকল’ বা ‘প্লাস্টিক’ ডিম পাওয়া যাচ্ছে?

Factly.in: FSSAI has released a document calling the plastic eggs as a ‘myth’.
Daily Jugantar: প্লাস্টিকের চাল বা প্লাস্টিকের ডিম বলতে কি কিছু আছে?

আরও পড়ুন

spot_img