নবজাতককে মধু খাওয়ানো কী ঠিক?

একটি শিশুর জন্ম হাজারটা স্বপ্ন আর আশার বীজ বুনে দেয় একেকটা পরিবারে। সন্তান উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবে, আচরণ হবে মধুর – এমন নানা প্রত্যাশা নিয়ে জন্মের ঠিক প্রথম দিন থেকেই পরিবারের মানুষেরা নানান ধরনের রেওয়াজ পালন করে থাকেন৷ জন্মের দিন থেকে পরবর্তী ২৮ দিনের শিশুদের (যাদের নবজাতক বলা হয়) ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা মঙ্গল কামনায় নবজাতককে মধু খাইয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু প্রচলিত এই রেওয়াজের কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি উল্টো নবজাতকের জন্য বিপদ ঢেকে আনছে এই মধু? 

নবজাতককে মধু খাওয়ানোর যে মিথ প্রচলিত

১. জাতীয় দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রিন্ট সংস্করণে ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর সদ্যজাত শিশুর যত্ন শিরোনামে (আর্কাইভ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে শিশু শ্বাস না নিলে নবজাতককে মধু খাওয়াতে নিষেধ করা হয়েছে। অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিলে নবজাতককে মধু খাওয়ানো যাবে। 

একই পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর নবজাতককে ভুলেও মধু খাওয়াবেন না শিরোনামে (আর্কাইভ) আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে অবশ্য প্রচলিত মিথের বিপক্ষে বলা হয়। উল্লেখ করা হয়, “নবজাতকের মুখে মধু দেওয়ার রীতি সমাজে প্রচলিত রয়েছে বহু বছর ধরে। তবে সেই রীতি মানতে গিয়ে আপনার ছোট্ট সোনা গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। জন্মের পর প্রথম এক বছর পর্যন্ত শিশুকে মধু দিতে কঠোরভাবে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা।” 

২. বহু বছর ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মিথটি প্রচলিত। বাংলাদেশেও একইভাবে নবজাতককে মধু খাওয়ানোর রেওয়াজ দেখা যায় এখনও। এই বিষয়ক আলোচনা প্রায়ই ফেসবুকেও দেখা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলতি বছরের ১৮ মে Abdul Malek নামক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট (আর্কাইভ) করা হয়৷ পোস্টে তিনি লিখেছেন, “একদা মধুর ব্যবহারের আশায় নবজাতককে মধু খাওয়ানো হতো!” 

এরকম আরো কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে। 

মধু কতটা উপকারী?

মধু হল একটি সিরাপী তরল যা মৌমাছিরা উদ্ভিদের নেকটার বলে একটি অঙ্গ থেকে তৈরি করে। এর মিষ্টিতা এবং গন্ধের গভীরতার জন্য বিশ্বব্যাপী এটি বেশ জনপ্রিয়। অনেক খাবার এবং রেসিপিতে মধু ব্যবহার হতে দেখা যায়। মধুর গন্ধ, রঙ এবং স্বাদ বিভিন্ন ধরণের ফুলের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হয়, তাই এটির অসংখ্য জাত পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট healthline বলছে,  এক টেবিল চামচ (২০ গ্রাম) মধুতে ৬১ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। মধু প্রাথমিকভাবে চিনি দ্বারা গঠিত, অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে এবং স্বাস্থ্য-উন্নয়নকারী উদ্ভিদ যৌগগুলিতে এটি সমৃদ্ধ।

Screenshot source : healthline

মধু রক্তে শর্করার ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত কিছু প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম, তবে এটি এখনও বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। রক্তচাপ এবং রক্তের চর্বির মাত্রা হ্রাস সহ হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উপর উপকারী প্রভাবের সাথে মধুর সম্পর্ক আছে মনে করা হয়। ত্বকে প্রয়োগ করার সময়, পোড়া, ক্ষত এবং অন্যান্য ত্বকের অবস্থার জন্য মধু একটি কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত পায়ের আলসারের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। Healthline এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য মধু একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ কাশি দমনকারী হিসাবে কাজ করতে পারে। কিছু গবেষণা এসেছে, এটি নির্দিষ্ট কাশি ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর।

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে মধুর নানা উপকারিতার কথা তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরকরণে, রক্তশূন্যতায়, শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে, অনিদ্রায়, যৌন দুর্বলতায়, পানিশূন্যতায়, দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, ওজন কমাতে, গলার স্বর সুন্দরে, হাড় ও দাঁত গঠনে, রক্ত পরিস্কার করণ ইত্যাদিতে মধুর উপকারি গুণ সম্পর্কে বলা হয়েছে। 

নবজাতককে মধু খাওয়ানোর মিথের প্রচলন কবে থেকে? 

বাংলাদেশে নবজাতককে মধু খাওয়ানোর রীতির প্রচলন ঠিক কবে থেকে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা যায় না। গ্রাম বাংলা ছাড়িয়ে শহরাঞ্চলেও এই রেওয়াজ আজও পালন করতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা বিশ্বাস করেন, নবজাতক শিশুকে মধু খাওয়ানো শিশু মঙ্গল বয়ে আনবে, সে হয়ে উঠবে সুন্দর আচরণের অধিকারী। শুধু বাংলাদেশেই নয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং পাকিস্তানেও নবজাতককে মধু খাওয়ানোর ব্যাপারটিকে বহুল প্রচলিত রীতি হিসেবে দেখা হয়। এমনকি ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এই রীতির প্রচলন দেখা যায়। 

নবজাতককে মধু খাওয়ানো যাবে না? 

নবজাতক শিশুদের প্রায়ই ঝিমুনি, দুর্বলতা, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। কিছু কিছু শিশু খিটখিটে মেজাজের হয়ে যায়, হতে পারে খিঁচুনি সমস্যাও। এই লক্ষণগুলো থাকলে শিশুর বটুলিজম রোগ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। বটুলিজমকে বলা হয় বিরল রোগ। ক্লোস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম নামের একটি ব্যাকটেরিয়ায় আক্রমণে সৃষ্টি হওয়া এই রোগে আক্রান্তদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। 

Screenshot source : NHS

সাধারণত তিন ধরনের বটুলিজম রোগ সম্পর্কে জানা যায়। এর মধ্যে একটি হলো ইনফ্যান্ট বটুলিজম। 

২০০২ সালে ResearchgateAssociation Between Honey Consumption and Infant Botulism শিরোনামে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মার্কিন গবেষকদের করা এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, “অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে মধু খাওয়ার সাথে ইনফ্যান্ট বটুলিজম নামক একটি রোগের সংযোগ রয়েছে।” এই ধরনের গবেষণাগুলো সিডিসিকে (মার্কিন সরকারি সংস্থা Central for Disease Control & Prevention) ১২ মাসের কম বয়সী শিশুদের মধু দিতে নিষেধ করার সুপারিশ করে।  

মধুতে কী এমন আছে যে বিরল একটি রোগ কাবু করছে নবজাতককে, এমন তথ্যের অনুসন্ধানে healthline এর একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। When Is It Safe for Babies to Eat Honey? শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, “একটি শিশুর বটুলিজম হতে পারে ক্লস্ট্রোডিয়াম বটুলিনাম (Clostridium botulinum) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার স্পোরের আক্রমণে৷ এই ব্যাকটেরিয়ার দেখা মেলে মাটি, মধু এবং মধুজাত পণ্যগুলোতে৷ এই স্পোরগুলো অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় পরিণত হয় এবং শরীরে ক্ষতিকারক নিউরোটক্সিন তৈরি করে।

মার্কিন অনলাইন মিডিয়া কোম্পানি Business Insider বলছে, “যখন ক্লস্ট্রোডিয়াম বটুলিনাম একটি শিশুর বৃহৎ অন্ত্রে প্রবেশ করে, তখন তা জীবিত হয়ে ওঠে। কারণ শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের বিপরীতে, এক বছরের কম বয়সী শিশুরা জটিল এবং শক্ত খাবার খায় না।  কিন্তু এর পরিবর্তে মায়ের দুধ খায় সে। চার থেকে ছয় মাস পর শিশুটি মায়ের দুধ ছেড়ে অন্যান্য খাবারও খাওয়া শুরু করলে তাদের অন্ত্রের জীবাণুগুলো খুব আকস্মিকভাবে পরিবর্তিত হয়। 

এ সময় ক্লস্ট্রোডিয়াম বটুলিনাম ব্যাকটেরিয়া মুক্তভাবে বৃদ্ধি পায় এবং টক্সিন তৈরি করে। টক্সিন শিশুর রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করার সাথে সাথে এটি মোটর স্নায়ুর অ্যাসিটাইলকোলিন নিঃসরণ করার ক্ষমতাকে অবরুদ্ধ করে। অ্যাসিটাইলকোলিন একটি রাসায়নিক বার্তাবাহক যা পেশীতে স্নায়ু সংকেত পাঠায়। ফলস্বরূপ, শিশু পেশীর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে এবং তাকে ক্লান্ত দেখায়। যত বেশি টক্সিন রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে তত বেশি গিলে ফেলা এবং শ্বাস নেওয়া নিয়ন্ত্রণকারী পেশীগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়।”

বটুলিজমকে একটি গুরুতর অবস্থা হিসেবে দেখা হয়। বটুলিজম আক্রান্ত প্রায় ৭০ শতাংশ শিশুর গড়ে ২৩ দিনের জন্য যান্ত্রিক বায়ুচলাচল প্রয়োজন হতে পারে। বটুলিজমের জন্য গড় হাসপাতালে থাকার সময় প্রায় ৪৪ দিন। বেশিরভাগ শিশুই অবশ্য চিকিত্সার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠে। মৃত্যুর হার ২ শতাংশের কম।

তবে মধু খাওয়ার পরপরই এই রোগের লক্ষণ দেখার ব্যাপারে প্রমাণ মেলে নি এখনও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম The Times of India বলছে, সাধারণত ৮ থেকে ৩৬ ঘন্টা সময় পর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। 

যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট NHS এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মাঝে মাঝেই মধুতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা একটি শিশুর অন্ত্রে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে। এটি শিশুদের বটুলিজমের দিকে পরিচালিত করে, যা একটি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থতা।”

প্রতিবেদনে সন্তানের বয়স এক বছরের বেশি না হওয়া পর্যন্ত মধু না দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। মধু একটি চিনি, তাই এটি এড়াতে পারলে দাঁতের ক্ষয় রোধেও সাহায্য করবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। 

ইসলামে নবজাতককে মধু খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে? 

ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বিবিসি ২০১৩ সালে Rites of passage শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বেশিরভাগ ধর্মই তাদের অনুসারীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিহ্নিত করে জানিয়ে নতুন জন্ম নেওয়া নবজাতকের সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, “কোরআনের মাধুর্য প্রতিফলিত করার জন্য শিশুকে মধুর স্বাদ দেওয়া হয়।” 

অনেকেই মনে করে থাকেন, শিশু বিশেষ করে নবজাতকদের মধু খাওয়ানো সুন্নত। এ সম্পর্কে বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ২০১৭ সালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি‘র নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’য় (আর্কাইভ) বলেন, “জন্মের পর ছোট শিশুকে মধু খাওয়ানো সুন্নত, এ কথা শুদ্ধ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কোনো হাদিসের মাধ্যমে অথবা কোনো কাজের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়নি। রাসুলুল্লাহ (সা.) কাউকে মধু খাওয়াতে বলেছেন, অথবা মুধু খাইয়েছেন, এটি প্রমাণিত হয়নি।”

তবে একটি মাসআলার নিয়ে আলেমদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে তিনি জানান, “একটি শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছে রাসুল (সা.)-এর কাছে। নবী (সা.) একটু খেজুর চিবিয়ে খুব মসৃণ করে, নরম করে, শিশুর উপযোগী করে শিশুর মুখে দিয়েছেন। এটাকে বলা হয়ে থাকে ‘তাহনিক’। একদল ওলামায়ে কেরাম তাহনিকটাকে সাধারণ হুকুম হিসেবে গ্রহণ করে বলেছেন এটা সুন্নাহ। যাঁরা তাহনিককে সুন্নাহ বলেছেন, তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে— তহনিক করা, অর্থাৎ খেজুর বা এ জাতীয় কোনো কিছুকে চিবিয়ে শিশুর মুখে দেওয়া সুন্নাহ।” 

সাইফুল্লাহ বলছেন, “এই মাসআলা নিয়ে আমার যতটুকু স্টাডি বা চেষ্টা রয়েছে, সেই চেষ্টার আলোকে আমি তাহকিক করে দেখেছি, এই তাহনিকটি শুধু রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য খাস। ওনার জন্যই নির্দিষ্ট। রাসুলের (সা.) পরবর্তী সময় সলাফদের আমল দ্বারা এটি সরাসরি প্রমাণিত হয়নি।” 

কখন শিশুকে মধু খাওয়ানো যাবে? 

মার্কিন সরকারি সংস্থা Food and Drug Administration জানিয়েছে, “এক বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য মধু নিরাপদ নয়। এটিতে ক্লোস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম জীব থাকতে পারে যা গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।”

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ও একই তথ্য দিয়ে বলছে, “১ বছরের কম বয়সি বাচ্চাদের ভুলেও মধু খাওয়াবেন না। কারণ এর ফলে তাদের ইনফ্যান্ট বোটুলিজম হতে পারে। ৬ মাসের কম বয়সি বাচ্চাদের মধু দিলে বোটুলিজমের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।”

The Times of India বলছে “আপনার শিশুর ১২ মাস বয়স না হওয়া পর্যন্ত তাকে মধু দেওয়া এড়িয়ে চলুন। মধুতে পাওয়া স্পোর সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এর কারণ হল আমাদের অন্ত্রে পাওয়া অণুজীবগুলো স্পোরগুলিকে বাড়তে বাধা দেয়।”

অর্থাৎ, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে বহু বছর ধরে মঙ্গল কামনায় নবজাতককে মধু খাওয়ানোর রীতি প্রচার হয়ে আসছে। অথচ এই রীতির স্বপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং ১ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধু খাওয়ালে ইনফ্যান্ট বটুলিজম রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। সুতরাং, নবজাতককে মধু খাওয়ানো ঠিক নয়।  

তথ্যসূত্র

  1. healthline : 7 Unique Health Benefits of Honey
  2. Prothom Alo : মধুর যত গুণ 
  3. National Library of Medicine : Infant botulism following honey ingestion   
  4. NHS : Botulism
  5. Researchgate : Association Between Honey Consumption and Infant Botulism 
  6. healthline : When Is It Safe for Babies to Eat Honey?
  7. Ntvbd : মধু কারা খাবেন, কারা খাবেন না
  8. NHS : Foods to avoid giving babies and young children
  9. The Times of India : The Real Reason Why You Should Not Feed Honey To Infants
  10. Business insider : Why babies can’t eat honey
  11. BBC : Rites of passage
  12. NTV : ‘আপনার জিজ্ঞাসা’  
  13. FDA : Once Baby Arrives – Food Safety for Moms to Be 
  14. Ei samay : বাচ্চার বয়স ১ বছর হওয়ার আগেই মধু খাওয়াচ্ছেন? সাবধান! হতে পারে নানা সমস্যা

আরও পড়ুন

spot_img