নুসরাত তাবাসসুমকে জড়িয়ে জুম বাংলার নামে ভুয়া ফটোকার্ড প্রচার 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুমকে জড়িয়ে ‘সমন্বয়ক নুসরাতের স্তন টিপে ধরায় সহ-সমন্বয়ক শোকজ’ শীর্ষক দাবিতে জুম বাংলার আদলে তৈরি একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। 

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)। 

ফ্যাক্টচেক 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ‘সমন্বয়ক নুসরাতের স্তন টিপে ধরায় সহ-সমন্বয়ক শোকজ’ শীর্ষক দাবিতে জুমবাংলা কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি। প্রকৃতপক্ষে, ২০২৪ সালের ০৯ নভেম্বরে জুম বাংলার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি ফটোকার্ডের শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত ফটোকার্ডে জুমবাংলার লোগো থাকার প্রেক্ষিতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জুমবাংলার ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত তথ্য সম্বলিত কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

তবে গণমাধ্যমটির ফেসবুক পেজে ২০২৪ সালের ০৯ নভেম্বরে ‘ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ, সহ-সমন্বয়ককে শোকজ’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। এই পোস্টে ব্যবহৃত ফটোকার্ডের সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত ফটোকার্ডটির গ্রাফিক্যাল ডিজাইন ও ছবির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

Image comparison: Rumor Scanner 

পরবর্তীতে এই ফটোকার্ডটির সাথে আলোচিত ফটোকার্ডটির তূলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আলোচিত ফটোকার্ডের শিরোনাম ও শিরোনামে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে জুম বাংলার ফেসবুক পেজে প্রচারিত ফটোকার্ডের ফন্টের ডিজাইনের মিল নেই। যা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এই ফটোকার্ডটির শিরোনাম ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করে ‘সমন্বয়ক নুসরাতের স্তন টিপে ধরায়’ শীর্ষক বাক্যাংশ যুক্ত করে আলোচিত ফটোকার্ডটি তৈরি করা হয়েছে। 

আলোচিত সহ-সমন্বয়ককে শোকজ প্রসঙ্গে যা জানা গেল 

গত বছরের নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বাবুর বিরুদ্ধে একজন নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ ওঠে। এর প্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত অভিযোগটি নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি জানিয়ে মেহেদী হাসানকে কেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সে ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কারণ দর্শাতে বলা হয়। পবর্তীতে, অশোভন আচরণের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বাবুর বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত শোকজ প্রত্যাহার করে নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

সুতরাং, জুম বাংলার ফটোকার্ড ব্যবহার করে ‘সমন্বয়ক নুসরাতের স্তন টিপে ধরায় সহ-সমন্বয়ক শোকজ’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত তথ্যটি মিথ্যা এবং আলোচিত ফটোকার্ডটি সম্পাদিত। 

তথ্যসূত্র 

আরও পড়ুন

spot_img