গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গত ৭ এপ্রিল দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরইমধ্যে, নির্দিষ্ট স্থানের নাম উল্লেখ না করে দেশের কোনো একটি বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ জনতার ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ফিলিস্তিনের পক্ষে জনতার বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের নয় বরং, গত ০৭ এপ্রিল চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বাঁধা দেয়। সেই সময়কার দৃশ্য এটি।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রচারিত ভিডিওটিতে অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোস্টের লোগো লক্ষ্য করা যায়। উক্ত সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ঢাকা পোস্টের ইউটিউব চ্যানেলে গত ০৭ এপ্রিল “টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রে’নে’ডে মুহূর্তে র’ণ’ক্ষে’ত্র” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

উক্ত ভিডিও থেকে জানা যায়, বিডিআর কল্যাণ পরিবারের সদস্যদের সচিবালয় মুখে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করার দৃশ্য এটি।
পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ঢাকা পোস্টের ওয়েবসাইটে একই দিনে “সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৭ এপ্রিল দুপুরে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা একটি মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে শিক্ষা ভবন মোড়ে আসার পর বিক্ষোভে বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।
একই তথ্যে প্রথম আলো, যুগান্তরসহ অন্যান্য গণমাধ্যমও সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সুতরাং, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলার দৃশ্যকে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনতার বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের হামলার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Dhaka Post- YouTube Video
- Dhaka Post- সচিবালয়মুখী চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মিছিল, পুলিশের বাধা