সম্প্রতি, ঈদে বাড়ি ফেরার সময় ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত ও নিহত হয়েছেন দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত ঈদের আগে বাড়ি যাওয়ার সময় ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে ভৈরবে কোনো ট্রেন দুর্ঘটনাও ঘটেনি বরং, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার সময়কার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে ‘সৈকত খান’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর প্রচারিত একটি লাইভ খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত লাইভে থাকা দৃশ্য এবং বর্ণনার সাথে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন এবং বর্ণনা শুনে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ভৈরবে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনার দৃশ্য এটি।
পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর ডেইলি স্টারে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেলে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছিল। দুর্ঘটনার পর ভৈরবে গঠিত জরুরি কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সালেহ (ভৈরব এসি ল্যান্ড অফিসের কর্মকর্তা) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুর্ঘটনায় ২ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ নিহত হয়েছেন।
সেসময় বিবিসি বাংলা, সমকালসহ দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমগুলো একই তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
অর্থাৎ, ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার দৃশ্যটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়।
এছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সাম্প্রতিক সময়ে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার কোনো তথ্য গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনার দৃশ্যকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- সৈকত খান- Facebook Live
- Daily Star- ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনের পেছন দিকে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা, নিহত অন্তত ১৭