গত ০২ অক্টোবর ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর দুই সপ্তাহ আগে সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম ও সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন।
এরইমধ্যে, “শিবির যাদের রগ কেটেছে তারা কেউ ঈমানদার ছিলো না, কেউ ঈমান আনলে আমরা তার রগ কাটিনা” শীর্ষক মন্তব্যটি ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েম দাবিতে যমুনা টিভির ডিজাইন সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ‘শিবির যাদের রগ কেটেছে তারা কেউ ঈমানদার ছিলো না, কেউ ঈমান আনলে আমরা তার রগ কাটিনা’- ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম শীর্ষক দাবিতে যমুনা টিভি কিংবা অন্য কোনো গণমাধ্যম ফটোকার্ড বা সংবাদ প্রকাশ করেনি এবং সাদিক কায়েমও এমন কোনো মন্তব্য করেননি বরং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই বানোয়াট এই মন্তব্য ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতির নামে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত ফটোকার্ডটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এতে যমুনা টিভির লোগো রয়েছে।উক্ত সূত্র ধরে যমুনা টিভির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচারিত সংবাদ ও ফটোকার্ডগুলো পর্যালোচনা করে আলোচিত শিরোনাম বা তথ্য সম্বলিত কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। যমুনা টিভি’র ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেলও এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তাছাড়া, যমুনা টিভি কর্তৃক প্রকাশিত ফটোকার্ডের ব্যবহৃত ফন্টের সাথে আলোচিত ফটোকার্ডে থাকা ফন্টের পার্থক্য রয়েছে।
পাশাপাশি, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অন্য কোনো গণমাধ্যমেও উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমের ফেসবুক অ্যাকাউন্টেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সুতরাং, ‘শিবির যাদের রগ কেটেছে তারা কেউ ঈমানদার ছিলো না, কেউ ঈমান আনলে আমরা তার রগ কাটিনা’- শীর্ষক মন্তব্যটি ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি করেছেন মর্মে যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট।
তথ্যসূত্র
- Md. Abu Shadik Kayem- Facebook Account
- Rumor Scanner’s Own Analysis