সম্প্রতি “ব্রেকিং নিউজ- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন গ্রেফতার।” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলোর আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন গ্রেফতার হন নি বরং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসাইন গ্রেফতার হয়েছেন।
কি-ওয়ার্ড সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যম “দৈনিক ইনকিলাব” পত্রিকার ওয়েবসাইটে গত ১৭ই মে ‘মোবারক হোসাইনকে অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়।

পাশাপাশি, রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এ ১৭ই মে রাত ০৯.১৫ মিনিটে “আসসালামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ!!! আমি ভাল আছি। দোয়া করবেন।” (আর্কাইভ এখানে) শীর্ষক একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।

মূলত, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনের গ্রেফতারের তথ্যকে নামের মিল থাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন গ্রেফতার হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন একটি মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির হতে না পারায় আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। গত ১৭ই মে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
সুতরাং, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইনের গ্রেফতারের তথ্যকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. মোবারক হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।