সম্প্রতি “নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের ডা. রায়ান সাদী” শীর্ষক একটি তথ্য দেশীয় গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কী দাবি করা হচ্ছে?
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত ১ অক্টোবর ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে (আর্কাইভ) দাবি করেন, “আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের বন্ধু রায়ান সাদী এমডি, এমপিএইচ, চেয়ারম্যান ও সিইও Tevogen Bio, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমরা গর্বিত। সাদীর প্রতি প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। সাদী ও তার পরিবারের প্রতি নিরন্তর শুভকামনা।”
দীপু মনির পোস্টকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে পরবর্তীতে দেশীয় গণমাধ্যমগুলোয় প্রতিবেদন ও ফেসবুকে অসংখ্য পোস্ট প্রকাশিত হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন কিছু প্রতিবেদনের আর্কাইভ ভার্সন দেখুন, আরটিভি, একাত্তর, চ্যানেল২৪, বাংলাভিশন,আজকের পত্রিকা, বাংলাদেশ টাইমস, ডেইলি ক্যাম্পাস, ইনকিলাব, প্রতিদিনের সংবাদ, ডেইলি বাংলাদেশ, Daily Bangladesh English, সময়টিভি, দেশ রুপান্তর, দেশ টিভি, বিজনেস বাংলাদেশ, নয়াশতাব্দী, মানবকন্ঠ, বিডি জার্নাল, এবিনিউজ২৪, জুম বাংলা, ঢাকা মেইল, সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা ট্রিবিউন, বার্তাবাজার, সারা বাংলা।
একই দাবিতে ছড়িয়ে পড়া কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন – এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন – এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের রায়ান সাদী একক মনোনয়ন পাননি বরং তাঁর প্রতিষ্ঠান টেভোজেনও যৌথভাবে মনোনয়ন পেয়েছে।
মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি সত্য?
কিওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে, মূল ধারার গণমাধ্যম এনটিভির ফেসবুক পেজে গত ৩ অক্টোবর নোবেল শান্তিতে মনোনীত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রায়ান সাদি শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, “২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিৎসক ড. রায়ান সাদীকে নমিনেশন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস কার্টিস পেট্টন। এনটিভিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন ড. পেট্টন।”
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে পরবর্তীতে এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলমের সাথে কথা হয় রিউমর স্ক্যানার টিমের। জহিরুল আলম জানান, “তাঁর (কার্টিস পেট্টন) সাথে কথা হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তিনি এই মনোনয়ন নোবেল কমিটিতে পাঠিয়েছেন এবং মিডিয়া হিসাবে আমরা তাঁকে উদ্ধৃত করতে পারি।”
টেভোজেনের ওয়েবসাইট থেকেই সন্দেহের শুরু
দীপু মনির ফেসবুক পোস্টের পর রায়ান সাদীর প্রতিষ্ঠান টেভোজেন বায়ো’র ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, ওয়েবসাইটটির ল্যান্ডিং পেজে NOBEL PEACE PRIZE NOMINEE লেখা একটি ব্যানার (আর্কাইভ) ঝুলছে। ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি৷ ২ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত শুধু এই ব্যানারটিই ওয়েবসাইটে দেখতে পায় রিউমর স্ক্যানার টিম।
কিন্তু ব্যানারের কোথাও রায়ান সাদীর নাম উল্লেখ না থাকায় নোবেলের মনোনয়ন রায়ান সাদী পেয়েছেন নাকি টেভোজেন পেয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে পারছিল না রিউমর স্ক্যানার টিম।
এ বিষয়ে দেশীয় গণমাধ্যমও সে সময় দীপু মনির পোস্টকেই সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে রায়ান সাদীর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টিই শুধু উল্লেখ করে।
পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর টেভোজেন তাদের ওয়েবসাইটে থাকা ব্যানারটি পরিবর্তন করে লেখে, 2023 NOBEL PEACE PRIZE NOMINEE.
অর্থাৎ, ২০২২ নয়, ২০২৩ সালের নোবেল জন্য মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেভোজেন।
কিন্তু রায়ান সাদী নাকি টেভোজেন – কে মনোনয়ন পেয়েছে সে বিষয়ে তখনও সন্দেহ থেকে যায়।
পরবর্তীতে ৮ অক্টোবর ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে নোবেল মনোনয়ন বিষয়ে নতুন ব্যানার খুঁজে পাওয়া যায়। ব্যানারে বলা হয়, টেভোজেন বায়ো এবং এর প্রতিষ্ঠাতা রায়ান সাদী ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।
কী বলছেন রায়ান সাদী?
দীপু মনির ফেসবুক পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই রায়ান সাদীর নোবেল পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কাজ শুরু করে রিউমর স্ক্যানার টিম। বিশেষত টেভোজেন বায়ো যেহেতু রায়ান সাদীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট নয়, তাই উক্ত ওয়েবসাইটে নোবেল বিষয়ক ব্যানারে ঠিক কাকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে অনুসন্ধান শুরু করে রিউমর স্ক্যানার টিম। এর প্রেক্ষিতে টেভোজেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করতে থাকে রিউমর স্ক্যানার টিম।
এক পর্যায়ে গত ৫ অক্টোবর রায়ান সাদীর সাথে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয় রিউমর স্ক্যানার টিম। তিনি জানান,
“টেভোজেন বায়ো এবং আমি (রায়ান সাদী) ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কার্টিস পেট্টন কর্তৃক নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছি।”
টেভোজেনের ওয়েবসাইট থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে রায়ান সাদী রিউমর স্ক্যানার টিমকে জানান, “আপনি জানেন, নোবেল প্রক্রিয়া বিভ্রান্তিকর হতে পারে যদি না কেউ এটির সাথে পরিচিত হয়। পরের বছরের জন্য মনোনয়ন চলতি বছরের পুরস্কার ঘোষণার সাথে মিলে যায়। ২০২২ সালের পুরষ্কার এখন ঘোষণা করা হচ্ছে, কিন্তু ২০২২-এর জন্য মনোনয়নগুলো ২০২১ সালে জমা দেওয়া হয়েছিল। টেভোজেন এবং আমি ২০২৩-এর জন্য মনোনীত। আমাকে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জানানো হয়েছিল কিন্তু বিভাগ ব্যতীত এবং খুব সংক্ষিপ্তভাবে কী লেখা বা যোগাযোগ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জানা ছিল না।”
অর্থাৎ, টেভোজেনের ওয়েবসাইটের ব্যানারে প্রথম দিকে সাল উল্লেখ না থাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সেটি সংশোধন করে সাল সংযুক্ত করা হয়।
রায়ান সাদী বলেন, “আমি খুব খুশি যে আমার দল কাজের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আমি নিশ্চিত করতে পারি যে আমি মনোনীত হয়েছি।”
এ বিষয়ে জানতে কার্টিস পেট্টনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে রিউমর স্ক্যানার টিম। কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাঁর পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি।
সাদী ও টেভোজেন কি চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে?
রায়ান সাদী ও টেভোজেনকে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সেটি প্রাথমিক পর্যায়ের মনোনয়ন। ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত এভাবে অনেকেই মনোনয়ন প্রস্তাব পাঠাবে নোবেল কমিটির কাছে৷
এরপর ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসজুড়ে নোবেল কমিটি প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকা থেকে শর্টলিস্ট করবে। আগস্ট পর্যন্ত উপদেষ্টা মন্ডলী সেই শর্টলিস্ট রিভিউ করবেন। তারপর অক্টোবরে ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম। অর্থাৎ, সাদী ও তাঁর প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি।
সাদীর মনোনয়নের বিষয়টি ফাঁস হলো কীভাবে?
শান্তিতে নোবেলের জন্য প্রতি বছর হাজারো বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, সাবেক নোবেল বিজয়ী, পার্লামেন্ট সদস্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিথযশা ব্যক্তিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিদের নোবেলের ছয়টি ক্যাটাগরির জন্য মনোনয়ন দিয়ে সেগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দেন। এই মনোনয়ন জমার সময়সীমা শুরু হয় আগের বছরের সেপ্টেম্বর থেকে সংশ্লিষ্ট বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
অর্থাৎ, ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত। একইভাবে ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও শুরু হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে।
নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “নোবেল কমিটি কখনও সুপারিশ পাওয়া বা মনোনীত ব্যক্তিদের নাম সংবাদমাধ্যম, এমনকি প্রার্থীদের কাছেও প্রকাশ করে না। পুরস্কার কে পাচ্ছেন সে সম্পর্কে আগাম জল্পনা-কল্পনার মধ্যে কিছু নাম উঠে আসে। এগুলো হয় নিছক অনুমান, নয়ত মনোনয়নের সুপারিশের পিছনে থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রকাশিত।”
রায়ান সাদীর ভাষ্যমতে, তাঁকে ও তাঁর প্রতিষ্ঠানকে মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস কার্টিস পেট্টন। নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটেও বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপকরাও মনোনয়ন দিতে পারেন। তাছাড়া, এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলমকেও কার্টিস পেট্টন নিশ্চিত করেছেন যে, তিনিই সাদীকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
তাই কার্টিস পেট্টনই সাদীকে এ বিষয়টি জানিয়ে থাকতে পারেন বলে প্রতীয়মান হয়।
ড. কার্টিস পেট্টন টেভোজেন বায়ো’র বোর্ড অফ ডিরেক্টর পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে তিনি ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ইয়েল কর্তৃপক্ষ তাঁকে এমিরেটাস অধ্যাপকের স্বীকৃতি দিয়েছে।
শান্তিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যৌথ নোবেল পাওয়ার নজির আছে?
১৯০১ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত ২৭টি প্রতিষ্ঠান নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এ বছরই যেমন রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই প্রতিষ্ঠান ও এক মানবাধিকার আইনজীবী যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছেন। তবে এরা কেউই একে অপরের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
একজন ব্যক্তি ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার নজির আছে বাংলাদেশেই। ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ড. মুহম্মদ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
মূলত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বাংলাদেশী চিকিৎসক ড. রায়ান সাদী জানতে পারেন, তাঁকে এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান টেভোজেন বায়ো‘কে যৌথভাবে ২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমিরেটাস কার্টিস পেট্টন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির পোস্টে শুধু রায়ান সাদীর নাম উল্লেখ থাকায় এবং টেভোজেন বায়ো’র ওয়েবসাইটের নোবেল বিষয়ক ব্যানারে কারো নাম উল্লেখ না থাকায় সাদী নাকি টেভোজেন- কে মনোনয়ন পেয়েছেন তা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়৷ এর প্রেক্ষিতে রায়ান সাদী রিউমর স্ক্যানারকে নিশ্চিত করেন, তিনি এবং টেভোজেন বায়ো উভয়ই মনোনয়ন পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, পূর্বেও বাংলাদেশীদের নোবেল মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশি আমেরিকান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ও তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড অ্যাডুকেশন ফর অল (এইচএইএফএ) নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে খবর বেরোয় সংবাদমাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়-এর প্রস্তাবে তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। সে বছর নোবেল পায় জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী (World Food Programme)।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত একজনই নোবেল পেয়েছেন একজন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ড. মুহম্মদ ইউনূস ও তাঁর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।
সুতরাং, রায়ান সাদীর নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন পাওয়ার দাবিটি বিভ্রান্তিকর।
তথ্যসূত্র
- Statement from Ryan Saadi
- Statement from Zahirul Alam, NTV
- NTv: নোবেল শান্তিতে মনোনীত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. রায়ান সাদি
- Tevogen Bio: Website
- Nobel Prize: Nomination and selection of Nobel Peace Prize laureates