সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ১১ আগস্ট স্থগিত এই পরীক্ষা পুনরায় আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। তবে, অনিবার্য কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে শিক্ষা বোর্ড থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই অবস্থায়, স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নম্বরে নেওয়ার দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং পরবর্তীতে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
উক্ত দাবিতে ডিবিসি নিউজের ফেসবুক পেজে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফেসবুকে প্রচারিত আরও কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নম্বরে নেওয়ার দাবিটি সত্য নয়। বরং, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির নামে তৈরি একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গুজবটি ছড়ানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির ‘আশিবো/প্রশা/২০১০/১০৮’ স্মারক নম্বরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার হতে দেখেছে রিউমর স্ক্যানার টিম। বিজ্ঞপ্তিটিতে দাবি করা হয়, অনিবার্য কারণবশত ১১/০৮/২০২৪ তারিখ হতে স্থগিতকৃত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাসমূহ সকল শিক্ষাবোর্ডে নির্ধারিত পূর্ণমানের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে, রিউমর স্ক্যানার টিম শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এমন কোনো বিজ্ঞপ্তির অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। বরং, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ১১ আগস্ট প্রকাশিত ভিন্ন একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নম্বরে আয়োজনের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের কোনো বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, স্থগিত পরীক্ষাগুলো জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত পূর্ণমান অনুযায়ীই অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাগুলোর সময়সূচি শীঘ্রই শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
সুতরাং, স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত নম্বরে নেওয়া হবে দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Bangladesh Inter-Education Board Coordination Committee – Notice