সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে, ১১ বছর বয়সী গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক সুমাইয়া ইউশাহ।

সুমাইয়াকে গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক উল্লেখ করে প্রচারিত প্রতিবেদন: চ্যানেল২৪ (ফেসবুক), ইনকিলাব, যুগান্তর, সমকাল (ইউটিউব), গণকণ্ঠ, গোয়েন্দা সংবাদ।

গণমাধ্যম ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। আলোচিত দাবি সম্বলিত এরূপ পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ১১ বছর বয়সী (বর্তমানে ১২ বছর) সুমাইয়া ইউশাহ বর্তমানে গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক নন বরং লামা আবু জামুস বর্তমানে গাজার সবচেয়ে কম বয়সী সাংবাদিক।
এ বিষয়ে কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, “‘আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে এই শিশুকে গাজার সবচেয়ে কম বয়সী সাংবাদিক বলে পরিচয় করিয়ে দেয়”।
২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সুমাইয়া ইউশাহকে (Sumayya Wushah) নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল জাজিরা। উক্ত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে ১১ বছর বয়সী সুমাইয়া গাজার সবচেয়ে কম বয়সী সাংবাদিকদের একজন। অর্থাৎ, সুমাইয়াই যে গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক এমন তথ্য আল জাজিরা দেয়নি।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম TRT World এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ একাধিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী লামা গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক।
উল্লেখ্য যে, সুমাইয়াকে নিয়ে ২০২৪ সালেও আলোচিত দাবিতে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় এবং তাতে সেসময় সুমাইয়ার বয়স ১১ বছর দাবি করা হয়েছে। অপরদিকে লামার জন্ম তারিখের বিষয়ে জানা যায়নি, তাই এখন তার ঠিক কত বয়স সে সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। গত বছর সুমাইয়াকে নিয়ে আলোচিত দাবি প্রচারের সময়ে লামাকে নিয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো অন্তত দেড় মাসের বেশি পুরোনো হওয়ায় তার বয়স এক বছর বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তা কোনোভাবেই দশ বছরের বেশি হওয়া সম্ভব নয়৷ এক্ষেত্রেও তাই সুমাইয়া ইউশাহকে বর্তমানে গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক বলা যাবে না। এ বিষয়ে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কারোর লামার রেকর্ড ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি। তাই, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত লামা আবু জামুস গাজার সর্বকনিষ্ঠ সাংবাদিক।
উল্লেখ্য যে, আলোচিত দাবিটি পূর্বেও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সেসময় বিষয়টি নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রিউমর স্ক্যানার টিম।