সম্প্রতি, “মতিঝিলের গণহত্যার পরে জমা করা লাশের ছবি!” শীর্ষক শিরোনামে ছবি সংযুক্ত একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রচার হয়েছে।যুক্ত একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রচার হয়েছ।

টুইটারে প্রচারিত উক্ত টুইটটি দেখুন এখানে এবং এখানে। আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আলোচিত ছবিটি মতিঝিলের কোনো গণহত্যার দৃশ্যের নয় বরং এটি হাইতির রাজধানীতে একটি বিশাল ভূমিকম্পে নিহত মানুষদের মৃতদেহের ছবি।
রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতি ব্যবহার করে, ‘Getty Images’ নামের একটি ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারিতে “Major Earthquake Devastates Haitian Capital” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত মূল ছবিটি খুজে পাওয়া যায়।
এছাড়াও, হাইতির রাজধানীতে বিশাল ভূমিকম্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম “Nytimes” এর ওয়েবসাইটে ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারিতে “Fierce Quake Devastates Haitian Capital” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে খুঁজে পাওয়া যায়।
মূলত, ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি উত্তর আমেরিকার হাইতির রাজধানীতে ৭.০ মাত্রায় শক্তিশালী একটি বিশাল ভূমিকম্পে ভবন ধসের কারণে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে মৃত ব্যক্তিদের লাশগুলো উদ্ধারের পর তাদের পোর্ট-ও-এ মর্গের বাইরে রাখা হয়। সেই সময়ে ধারণকৃত একটি ছবিকেই বর্তমানে মতিঝিলে গণহত্যার পরে জমা করে রাখা লাশের ছবি দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ০৫ ই মে বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগসহ ১৩ দফা দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান নেয়। সেদিন সংগঠনটির নেতা-কর্মীর সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, সেদিন রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের ২২ কর্মীসহ ৩৯ জন নিহত হয়েছিলো। তবে সংগঠনটির দাবি এদিন শতশত হেফাজত কর্মী নিহত হয়েছিলো।
অর্থাৎ, ২০১০ সালে হাইতি রাজধানীতে একটি বিশাল ভূমিঅর্থাৎ, ২০১০ সালে হাইতির রাজধানীতে একটি বিশাল ভূমিকম্পে ভবন ধসে নিহত মানুষদের মৃতদেহের ছবিকে সাম্প্রতিক সময়ে মতিঝিলে গণহত্যার পরে জমা করে রাখা লাশের ছবি দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।