নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক গত ৪ এপ্রিল জামিন পেয়েছেন। এই জামিনের পর সম্প্রতি, “ জামিনে মুক্তি পেয়ে লাইভে এলেন মামুনুল হক” শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইউটিউবে প্রচারিত এমন কিছু ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে(আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পাননি বরং প্রচারিত ভিডিওটি ২০২১ সালের।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে প্রচারিত ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এই ভিডিওটি নিয়ে পূর্বেও ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করেছিল রিউমর স্ক্যানার। গত বছরের ০৫ মে প্রকাশিত এই ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভিডিওটি ২০২১ সালের।
মামুনুল হকের ফেসবুক লাইভের এই ভিডিওটি সমালোচনার মুখে তিনি পরবর্তীতে সরিয়ে নেন।
অর্থাৎ, তিন বছরের পুরোনো ভিডিও ব্যবহার করে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হচ্ছে।
মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি এ মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
মূলত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রী অবরুদ্ধ হওয়ার পর সমালোচনার সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে সেই বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লাইভে আসেন মামুনুল হক। সম্প্রতি তার ধর্ষণ মামলায় জামিন পাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের মামুনুল হকের পুরোনো সেই লাইভ ভিডিওকে ‘মুক্তি পেয়ে লাইভে আসলেন মামুনুল হক’ শীর্ষক দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি কথিত ধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
সুতরাং, হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Rumor Scanner: মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পাননি
- Rumor Scanner’s own analysis