২০০ নম্বরের মধ্যে ২১২ পাওয়ার ঘটনাটি ভারতের, বাংলাদেশের নয়

সম্প্রতি, “২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২১২ পেল শিক্ষার্থী!” শীর্ষক শিরোনামে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।

২০০ নম্বরের

ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে(আর্কাইভ) এখানে(আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২১২ পাওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয় বরং ঘটনাটি ভারতের গুজরাতের। 

অনুসন্ধানের শুরুতে আলোচিত পোস্টগুলোতে পর্যবেক্ষণ করে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে মাধ্যমে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ফেসবুক পেজে “২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ২১২ পেল শিক্ষার্থী!” শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি  পোস্ট(আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়। 

Source: Facebook Screenshot

উক্ত পোস্টের মন্তব্য ঘরে এসম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতের গুজরাতের দাহুদ জেলার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির (ফোর্থ গ্রেড) এক শিক্ষার্থী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় পেয়েছে ২১২ নম্বর। ২০০ নম্বরের আরেকটি বিষয়ের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ২১১ নম্বর। তবে, এ ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করেছে বলেও জানা যায় প্রতিবেদনটিতে।

এছাড়া একই বিষয়ে শিরোনামে ভারতের কথা উল্লেখ না করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশীয় গণমাধ্যম প্রথম আলো, কালবেলা, দৈনিক যুগান্তর, জাগো নিউজ ২৪ এবং দৈনিক জনকণ্ঠ

প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করায় বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন না পড়েই তারা বিষয়টিকে বাংলাদেশের মনে করে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিতের জন্য কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে’র ওয়েবসাইটে গত ০৬ মে “Gujarat student gets 212 out of 200 in primary exam, probe ordered”- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

Source: India Today

উক্ত প্রতিবেদনটিতে ঘটনাটি ভারতের গুজরাতের দাহুদ জেলার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 

অর্থাৎ, ২০০ নম্বরের মধ্যে ২১২ পাওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়। তবে এসম্পর্কিত খবরের শিরোনামে স্থানের নাম না উল্লেখ করায় ঘটনাটি বাংলাদেশের ভেবে নেটিজেনরা বিভ্রান্ত হয়েছেন।

পাশাপাশি, মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এসংক্রান্ত কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

মূলত, ভারতের গুজরাতের দাহুদ জেলার একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর নম্বরপত্রে ভুলবশত ২০০ নম্বরের মধ্যে ২০১২ নম্বর দেওয়া হয়। উক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনামে ঘটনাটির স্থানের নাম উল্লেখ না করে সংবাদ প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিষয়টিকে বাংলাদেশের ঘটনা মনে করে ফেসবুকে প্রচার করেন। 

উল্লেখ্য, পূর্বেও ভারতের একাধিক ঘটনা বাংলাদেশের দাবিতে প্রচারিত হলে তা নিয়ে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রিউমর স্ক্যানার। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

সুতরাং, ভারতের গুজরাতের একটি স্কুলে এক শিক্ষার্থীর ২০০ নম্বরের মধ্যে ২১২ নম্বর পাওয়ার ঘটনাটি বাংলাদেশে স্থানের নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img