আওয়ামী লীগের এই ৬ নেতা-কর্মীকে সাইফুল হত্যার ফুটেজ দেখে আটক করা হয়নি

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরই প্রেক্ষিতে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ও বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশের সাথে যোগ দেন একদল আইনজীবীও। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তখন সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পরপরই অপরাধীদের শনাক্ত করে আটক করতে তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই প্রেক্ষিতে সাইফুল হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬ আ. লীগ-ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে দাবিতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

উক্ত ছবি ব্যবহার করে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ প্রতিবেদন দেখুন দৈনিক করতোয়া, সাম্প্রতিক দেশকাল, আমার বার্তা, সোনালী নিউজ, এমটি নিউজ ২৪ ডটকম, সকালের সময়, ঢাকা এজ, চলমান নিউইয়র্ক, যোগাযোগ, সময়ের খবর, এক টাকার খবর, গ্রাম বাংলা নিউজ২৪, জয় নিউজ বিডি ডটকম, বিনোদন৬৯, উত্তর বাংলা, ডেইলি বাংলা পোষ্ট

এছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম ঢাকা পোস্ট ও শেয়ারবিজ একই দাবির খবরে একই ছবি সংযুক্ত করে সংবাদ প্রচার করলেও পরবর্তীতে তা সংশোধন করে নেয়।

একই ছবি ব্যবহার করে উক্ত দাবিতে ঢাকা পোস্ট একটি ফটোকার্ডও প্রচার করেছিল। তবে গণমাধ্যমটি পরে ফটোকার্ডটিও সংশোধন করে নেয়। 

তবে সংশোধনের পূর্বেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা পোস্টের ফটোকার্ডটি ভাইরাল হয়ে যায়। উক্ত ফটোকার্ডটি সংযুক্ত করে ফেসবুকে দাবি প্রচার করা হচ্ছে, সাইফুল হত্যায় কোনো সনাতনী ধর্মাবলম্বী নেই। সবাই মুসলিম। 

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।

আলোচিত ইস্যুতে ছবি ছাড়াও একই দাবিতে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এমন সংবাদ দেখুন ইনডিপেনডেন্ট টিভি

উক্ত দাবিতে গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)

এখানে (আর্কাইভ)।

গণমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

এছাড়া, সাইফুল হত্যায় অভিযুক্ত সবাই মুসলিম দাবিতে টেক্সট আকারে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ভিডিও ফুটেজ দেখে ৬ আ. লীগ-ছাত্রলীগ কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আটককৃতদের মধ্যে সনাতনী ধর্মাবলম্বী নেই শীর্ষক দাবিগুলো সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকা আটককৃত ৬ ব্যক্তিকে আইনজীবী সাইফুল হত্যার অভিযোগে আটক করা হয়নি বরং, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে মিছিল দেওয়ার চেষ্টাকালে পুলিশ তাকে আটক করে। এছাড়া, সাইফুল হত্যার ভিডিও ফুটেজ দেখে আটককৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় পুলিশ এখনো প্রকাশ করেনি। তবে, গণমাধ্যমে আসা নাম অনুযায়ী উক্ত ঘটনায় আটককৃতদের অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী।

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে “আইনজীবী হ ত্যা য় ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে ছয়জন শনাক্ত” শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা পোস্টের ভাইরাল ফটোকার্ডটিতে সংযুক্ত ছবিটির বিষয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোতে “চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৬” শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উক্ত ছবিটির সংযুক্তি পাওয়া যায়। 

Comparison: Rumor Scanner

প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে মিছিলের প্রস্তুতিকালে ছয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তারা বলছে, আটক ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মী। তাঁরা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার থেকে এসে নগরের সরাইপাড়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নগরের পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকা থেকে এই ছয় ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। এবং সংযুক্ত ছবিটি চট্টগ্রাম নগরে আটক হওয়া উক্ত ছয় ব্যক্তির।

এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মো. রইছ উদ্দিনের সাথে। তিনি রিউমর স্ক্যানার টিমকে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য হিসেবে যারা আটক হয়েছেন, তাদেরকে পাহাড়তলী পুলিশ আটক করেছে। তাদেরকে ফুটেজ দেখে আটক করা হয়নি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম নগরে মিছিলের প্রস্তুতিকালে তাদেরকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছে ককটেলও পাওয়া যায়। অপরদিকে আইনজীবী সাইফুল হত্যায় ফুটেজ দেখে আটককৃতদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয় এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে মিছিল দেওয়ার চেষ্টা করায় আটককৃত এই ছয়জনের পরিচয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. আবু হেনা (৪২), মো. মোমিনুল ইসলাম (৩৪), মো. ইয়াছিন উল্লাহ (৪৪), মো. মামুনুর রশিদ (৪৮), শহীদ উদ্দিন খান (৪৮) ও আবদুর রহিম (৩২)।

পাশাপাশি, আইনজীবী সাইফুল হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক সাতজনের (২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত) পরিচয়ও গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) “পুলিশের তিন মামলা, ফুটেজ দেখে হত্যায় জড়িত সাতজন শনাক্ত” শিরোনামে মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, “[…] এর মধ্যে সাতজন আইনজীবী হত্যায় জড়িত। তাঁরা হলেন রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও মনু মেথর।” অর্থাৎ, পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী অভিযুক্তদের নাম দেখে প্রতীয়মান হয় যে হত্যায় সনাতনী ধর্মাবলম্বী একাধিক ব্যক্তি জড়িত আছেন।

এছাড়া, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজনদের মধ্যে ৩ জনকে শনাক্ত করাসহ “চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় কারা জড়িত?” শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, “আইনজীবী সাইফুলকে যে গলিতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানে সে সময় অন্যান্যদের মধ্যে এই ৩ জনকে দেখা যাচ্ছে— এমন একটি ছবি ২৭ নভেম্বর প্রকাশ করে টিবিএস। তাদের মধ্যে একজন হলেন, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শুভ কান্তি দাশ। আরেকজনের নাম জিয়া উদ্দিন ফাহিম। তিনি বাকলিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। এছাড়া, রাজীব ভট্টাচার্য ওরফে সুমন দক্ষিণ চট্টগ্রাম ছাত্রলীগের এক নেতার অনুসারী এবং একটি শিপিং কোম্পানির কর্মচারী বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে কোতোয়ালী পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৮ জনের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। অন্য ৭ জন হলেন— রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও সনু মেতর।”

উল্লেখ্য যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে মিছিল দেওয়ার চেষ্টা করাকালীন আটক হওয়া আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৬ জন সদস্যকে কিছু গণমাধ্যম সাইফুল হত্যায় ফুটেজ দেখে আটককৃত দাবিতে সংবাদ প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে তারা সূত্র হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে প্রচারিত একটি পোস্টকে উল্লেখ করে। পরবর্তীতে এরই সূত্র ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়, আইনজীবী সাইফুল হত্যায় কোনো সনাতনী ধর্মাবলম্বী জড়িত নয়।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজে গত ২৭ নভেম্বরে পোস্ট করা মূল পোস্টটি পাওয়া যায়। পোস্টটিতে বলা হয়, “আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে সিএমপি। বন্দরনগরীতে দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

পোস্টটিতে উল্লেখকৃত ফুটেজ দেখে আটক হওয়া ৬ জন এবং দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আটক হওয়া ৬ সদস্য একই কি না তা নিশ্চিত হতে রিউমর স্ক্যানার টিম যোগাযোগ করে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথির সাথে। তিনি নিশ্চিত করেন, ফুটেজ দেখে আটক হওয়া ৬ জন এবং দেশীয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আটক হওয়া ৬ সদস্য একই নন বরং ভিন্ন ৬ সদস্য।

তাছাড়া, ইতোমধ্যে সাইফুল হত্যার অভিযোগে ফুটেজ দেখে আটককৃতদের এর নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। তারা হলেন: রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ ও মনু মেথর। আটককৃতদের নাম অনুযায়ী সনাতনী ধর্মাবলম্বী হিসেবে প্রতীয়মান হয়। তাই, সাইফুল হত্যায় কোনো সনাতনী জড়িত নন শীর্ষক দাবিটিও সঠিক নয়৷

অর্থাৎ, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ (ককটেল) সহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করাসহ সাইফুল হত্যায় ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আরো ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। (২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত) এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজেও পোস্ট করা হয়। (পোস্টকালে ফুটেজ দেখে ৬ জন শনাক্তের কথা উল্লেখ করা হয়)। তবে, পরবর্তীতে ফুটেজ দেখে আটককৃত ৬ জন ও ককটেলসহ আটককৃত ৬ জনকে একই দাবি করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয় যে, সাইফুল হত্যায় ফুটেজ দেখে ৬ জন আ.লীগ-ছাত্রলীগ সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এখানে মোট ১২ জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং সাইফুল হত্যায় আটককৃত ৬ জনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক হওয়া ৬ জন মুসলিম হওয়ায় তাদেরকে সাইফুল হত্যায় অভিযুক্ত দাবিতেও ভুলভাবে প্রচার করা হয়। 

সাইফুল হত্যার ঘটনায় আটককৃতদের সর্বশেষ সংখ্যা জানতে রিউমর স্ক্যানার টিম যোগাযোগ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (পিআর) তারেক আজিজের সাথে। তিনি জানান, তার জানামতে, এখন পর্যন্ত ৩৫ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবার বিরুদ্ধে প্রথমে পুলিশের উপর হামলার মামলা হয়েছে। এখান থেকে ১৪ জনের সাথে হত্যার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পরে যখন হত্যা মামলার অভিযোগ হবে, তখন এদেরকে হত্যা মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হবে। আটককৃতদের নাম তার জানা নেই তিনি জানান। তবে, আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন— চন্দন, আমান দাস, শ্রী শুভ কান্তি দাশ, বুজা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাশ, ওমকার দাশ, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাশ, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, শ্রী গণেশ, ওম দাশ, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা, দুর্লভ দাশ ও রাজীব ভট্টাচার্য্য।

সুতরাং, সাইফুল হত্যায় ফুটেজ দেখে আটককৃতদের ছবি ও তারা আ. লীগ-ছাত্রলীগ কর্মী শীর্ষক দাবিতে প্রচারিত তথ্যগুলো বিভ্রান্তিকর।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

spot_img