গত ২৬ অক্টোবর রংপুর মহানগরীর সিংগিমারী ব্রিজ এলাকায় লিখন মিয়া, মারুফ, রনি, মোরসালিন ও আবু সিদ্দিক নামের ৫ কিশোর ঘুরতে বের হন। একসময় তারা সবাই মিলে রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রেনের সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন। এসময় রেললাইনের খুব কাছাকাছি থাকা লিখন একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। উক্ত ঘটনার ভিডিওটি পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে, রংপুর মহানগরীর সিংগিমারী ব্রিজ এলাকায় বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় আহত লিখন মিয়া মারা গেছেন দাবিতে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
ফেসবুকে প্রচারিত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ) এবং এখানে (আর্কাইভ)।
ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখুন এখানে (আর্কাইভ)।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় আহত লিখন মিয়া বেঁচে আছেন। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে ‘একতা/দ্রুতযান/পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ নামের একটি গ্রুপে মো. লতিফ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিও থেকে জানা যায়, রংপুরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় লিখন আহত হয়ে রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
অনুসন্ধানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. মো: সাব্বির আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুকে গতকাল ২৭ অক্টোবর প্রকাশিত একটি পোস্ট (আর্কাইভ) খুঁজে পাওয়া যায়।
উক্ত ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেও ট্রেনের ধাক্কায় আহত লিখন মিয়া জীবিত আছেন। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি আছেন।
এছাড়া, দেশিয় একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেও (১, ২) লিখনের জীবিত থাকার বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।
সুতরাং, রংপুরে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে সেলফি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় আহত কিশোর লিখন মিয়া মারা গেছেন দাবিতে একটি তথ্য ইন্টারনেটে প্রচার হয়েছে; যা মিথ্যা।
তথ্যসূত্র
- Md. Latif – Facebook Post
- Sabbir Ahmed – Facebook Post
- Kalbela – সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা, বেঁচে আছে সেই কিশোর
- Channel 24 – সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা লাগা সেই কিশোর এখন কেমন আছেন?