হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ির ড্রাইভার মারা যাওয়ার তথ্যটি গুজব

গত ৪ মে রাতে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ‘ব্রেকিং নিউজ.. হাসনাত আব্দুল্লাহ গাড়ির ড্রাইভার নিহত.. ইন্না লিল্লাহি  ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন.. ’ শীর্ষক দাবিতে একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।

উক্ত দাবিতে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্ট দেখুন এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ), এখানে (আর্কাইভ)।

ফ্যাক্টচেক

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহ গাড়ির ড্রাইভার মারা যাননি বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটমায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে (,,,,) তার গাড়ির ড্রাইভার মারা গেছে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, গাজীপুরে গাড়িতে হামলায় হাসনাত আব্দুল্লাহর হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন তিনি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান জানান হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাতভর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী। 

এছাড়া, হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও উক্ত হামলার ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত হামলার ঘটনার কেউ মারা গেছেন এমন কোনো দাবিও করা হয়নি৷

এই বিষয়ে আরও অনুসন্ধানে জানা যায়, দাবিটির সূত্রপাত হয় কিছু ব্যঙ্গাত্মক পোস্টের মাধ্যমে। হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনার পর, একটি পক্ষ তার গাড়ির ড্রাইভার নিহত হয়েছে দাবিতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মন্তব্যের ঘরে নিহত শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংযুক্ত করে। জবাবে, অপর পক্ষ একইভাবে মন্তব্যে মৃত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি দেয়। এসব ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট থেকেই বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে মন্তব্যে কোনো ছবির উল্লেখ ছাড়াই বিষয়টি বাস্তব ঘটনা দাবিতে প্রচারিত হয়।

সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়ির ড্রাইভার মারা যাওয়ার দাবিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

তথ্যসূত্র 

হালনাগাদ

০৬ মে, ২০২৫ : এই প্রতিবেদন প্রকাশ পরবর্তী সময়ে একই দাবির কিছু ফেসবুক পোস্ট আমাদের নজরে আসার প্রেক্ষিতে দাবিগুলো এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হলো।

আরও পড়ুন

spot_img